রবিবার, ১ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

জ্যোতিষীর চোখে নতুন বছর

মোস্তফা কাজল

জ্যোতিষীর চোখে নতুন বছর

জ্যোতিষীর বিচারে নতুন বছরে শেখ হাসিনা সরকারের জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে। দাতা সংস্থার সঙ্গে সরকারের বিদ্যমান সম্পর্ক নতুন দিগন্তের পথ দেখাবে। পাশাপাশি কূটনৈতিক সফলতাও বাড়বে। কর্মসংস্থানের নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে। প্রতিপক্ষের সরকার হটানোর প্রচেষ্টা সফল হবে না। অন্যদিকে বিএনপি সরকারবিরোধী আন্দোলনে ইতিবাচক সাড়া পাবে না। তারা হরতালসহ নানা কর্মসূচি দিলেও সাধারণ মানুষ এতে সাড়া দেবে না। এ বছর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে থাকা মামলার রায় হতে পারে। জ্যোতিষীর মতে ২০১৭ সাল হবে বাংলাদেশের জন্য সফলতার বছর। ব্যবসা ও শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ আরও বাড়বে। নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। বছরের শেষে ফের ঘুরে দাঁড়াবে শেয়ারবাজার। মাঝামাঝিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা, ভূমিকম্প, অতিবৃষ্টিতে প্রচুর প্রাণহানি ও শস্যহানির আশঙ্কা রয়েছে। তবে এ বছর যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। আমদানি বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি পাবে। এই সঙ্গে উগ্র জঙ্গিগোষ্ঠীর তৎপরতা বৃদ্ধি পেতে পারে। কয়েকটি স্থানে বোমা হামলাও হতে পারে। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুহার বাড়বে। তুচ্ছ কারণে কয়েকটি রাজনৈতিক হাঙ্গামা ঘটতে পারে। ফলে দেশে হরতাল, অবরোধের মতো কর্মসূচি আসতে পারে। এ ছাড়া রাজনৈতিক অঙ্গনে দেখা দেবে নানা জটিলতা। জ্যোতিষীরা আরও বলছেন, জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত থাকবে রাজনৈতিক অস্থিরতা। এ সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সতর্ক থাকা আবশ্যক। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নতুন বছরের শুরুতে রাজনীতির মারপ্যাঁচে পিছিয়ে পড়তে পারেন। আন্দোলনের ডাক দিলেও সফল হবেন না। এ ছাড়া জোট নেতাদের দল ত্যাগের কারণে কিছু ক্ষতির মুখেও পড়তে পারেন। ভুল সিদ্ধান্তের কারণে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বেকায়দায় পড়তে পারেন। তার দলের জনপ্রিয়তাও কিছুটা কমবে। গতকাল জ্যোতিষরাজ লিটন দেওয়ান চিশতি, ড. রামপ্রসাদ ভট্টাচার্য ও সাইফুল মতিনের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। লিটন দেওয়ান চিশতি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত কিছুটা সহিংস রূপ নিতে পারে। মে মাসে পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হয়ে আসতে পারে। দেশের সার্বিক উন্নতি বিগত বছরের তুলনায় আরও বৃদ্ধি পাবে। ফলে বিদেশে দেশের সুনাম ও গ্রহণযোগ্যতা আরও বেড়ে যাবে। বিদেশি দাতা ও সাহায্য সংস্থাগুলো সহযোগিতা বাড়িয়ে দেবে। তিনি বলেন, চলমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক প্রেক্ষাপট গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে আবারও হতবাক হবেন বেগম খালেদা জিয়া। এ ছাড়া বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে থাকা মামলায় রায় ঘোষণা করবে আদালত। অন্য জ্যোতিষ ড. রামপ্রসাদ ভট্টাচার্যের মতে, নতুন বছরের শুরুতে এক জোট ত্যাগ করে অন্য জোট গঠনসহ রাজনীতির নানা ক্ষেত্রে নতুন মেরুকরণ হতে পারে। এপ্রিলের পর পরিস্থিতি সামাল দিতে কিছুটা বেগ পেতে হবে খালেদা জিয়াকে। এ ছাড়া ২০১৭ হবে প্রধান দুই নেত্রীর জন্য রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের বছর। শেখ হাসিনার জন্য ধর্মীয় স্থানসমূহে গমন, রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নে বেশ সতর্ক থাকতে হবে। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সম্পর্কে বলেন, নতুন বছরের শুরুতে রাজনীতির মারপ্যাঁচে তিনি বেকায়দায় পড়তে পারেন। কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষেত্রে মানসিক দৃঢ়তা তাকে রাজনৈতিক সাফল্য এনে দিতে পারে। অতীতের মতো সুবিধাবাদী শ্রেণির কিছু লোক তার পাশে তৎপর থাকবেন। ফলে দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি ঘটতে পারে। এ ছাড়া নিজ দলের কিছু নেতা-কর্মীর কারণে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি ভেস্তে যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, এ বছরও তারেক রহমানের দেশে ফেরা অনিশ্চিত থাকবে। তিনি কয়েকটি মামলায় আদালত থেকে শাস্তি পেতে পারেন। বছরের শেষ প্রান্তে নতুন সংসদ নির্বাচনের জন্য দেশের নানা মহল থেকে দাবি উঠতে পারে। জ্যোতিষ সাইফুল মতিন বলেন, দেশে তুচ্ছ কারণে সহিংস রাজনৈতিক কার্যকলাপ কিছুটা বেড়ে যাবে। সরকার ও বিএনপির মধ্যে দূরত্ব কিছুটা কমতে পারে। বছরের শুরুতে বিএনপি আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করবে। তবে সে ক্ষেত্রে বড় ধরনের আন্দোলনের সুযোগ থাকবে না। বেগম জিয়ার আন্দোলনের ডাকে দেশে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। সুশীলসমাজের পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি উঠতে পারে। জাতীয় পার্টি সরকার থেকে বেরিয়ে যেতে পারে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর