সোমবার, ২ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগ নেতারা যা বললেন

ঘটনাস্থলে প্রতিনিধি দল

নিজস্ব প্রতিবেদক

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি মনজুরুল ইসলাম লিটন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ‘বিএনপি-জামায়াত’কে দায়ী করেছে আওয়ামী লীগ। দলীয় নেতাদের মতে, লিটনকে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এ জন্য ধর্মীয়       উগ্রবাদী শক্তিকে চরম মূল্য দিতে হবে। গতকাল ঢাকায় ও রংপুরে পৃথক পৃথক প্রতিক্রিয়ায় দলটির শীর্ষ নেতারা এ অভিমত প্রকাশ করেন।  

গতকাল দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক জরুরি সভা শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আওয়ামী লীগের এমপি খুন একটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হচ্ছে, এটি সাম্প্রদায়িক অপশক্তির ঠাণ্ডা মাথায় কাপুরুষোচিত হত্যা। এ জন্য ধর্মীয় উগ্রবাদী শক্তিকে চরম মূল্য দিতে হবে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তিনি বলেন, আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, সারা দেশ যখন উৎসবমুখর পরিবেশে ইংরেজি নববর্ষকে বরণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, সেই মুহূর্তে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বর্ষবরণের আনন্দধারার ওপর বর্বরোচিত আক্রমণ করেছে। নতুন বছরে দেশবাসীকে আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, কোনো অপশক্তি চলমান উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাকে ব্যাহত করতে পারবে না। বাংলাদেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতা, আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে সেসব মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে দেশে অরাজকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যে কোনো মূল্যে আমরা তাদের প্রতিরোধ করব, পরাজিত করব। ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজনৈতিকভাবে সব অপশক্তিকে মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এমপি লিটনের হত্যাকাণ্ডে জড়িত ধর্মীয় উগ্রবাদী অপশক্তিকে তাদের কৃত অপরাধের চরম মূল্য দিতে হবে। আওয়ামী লীগের খুলনা মহানগর নেতা জেড এ মাহমুদ ডনের ওপর গুলিবর্ষণের সময় পথচারী শিপ্রা কুণ্ডু নিহত হওয়ার ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ওবায়দুল কাদের। সংবাদ সম্মেলনে আহমদ হোসেন, অসীম কুমার উকিল, আবদুল মতিন খসরু, এনামুল হক শামীম, মহিবুল হাসান চৌধুরী, ফরিদুন্নাহার লাইলী, সুজিত রায় নন্দী, আবদুস সোবহান গোলাপ, আমিনুল ইসলাম আমিন, ডা. রোকেয়া সুলতানা, হারুনুর রশিদ, বিপ্লব বড়ুয়া, ইকবাল হোসেন অপু, আনোয়ার হোসেন, মারুফা আকতার পপি, আমিনুল ইসলাম মিলন, গোলাম রাব্বানী চিনু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। গতকাল সকালে রংপুর পুলিশ লাইন মাঠে এমপি লিটনের প্রথম নামাজে জানাজা শুরুর আগে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, এমপি লিটন সব সময় জামায়াত-শিবির বিরোধী অবস্থানে ছিলেন। এই ঘটনা বিএনপি-জামায়াত-শিবির পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছে। দেশকে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জঙ্গিমুক্ত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে, তখন এ কাজে বারবার আঘাত আসছে। এ আঘাত কঠোর হাতে দমন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর  নির্দেশ দিয়েছেন। এমপি লিটন হত্যাকারীরা কেউ রেহাই পাবে না। তারা অবিলম্বে গ্রেফতার হবে।  এ সময় নানকের সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপনসহ জেলা নেতারা।

সর্বশেষ খবর