বুধবার, ৪ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

রাজস্ব ফাঁকিতে বিদেশি উন্নয়ন সহযোগীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজস্ব ফাঁকিতে বিদেশি উন্নয়ন সহযোগীরা

বিদেশি উন্নয়ন সহযোগীরা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান। তিনি বলেছেন, রাজস্ব আদায়ে উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা করার কথা থাকলেও তারা এর ব্যত্যয় ঘটিয়ে রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শুল্ক গোয়েন্দারা এই অভিযোগ উদঘাটন করছেন। গতকাল সেগুনবাগিচার রাজস্ব ভবনে এনবিআর আয়োজিত ‘রাজস্ব সুরক্ষা ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে ক্যাব, আইপিএবি, বেসিস, বাংলাদেশ ব্যাংক, যৌথ মূলধনী কোম্পানিসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে অংশীদারিত্বমূলক সংলাপে এসব কথা বলেন নজিবুর রহমান। সংলাপে বক্তব্য দেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান, বেসিস সভাপতি তথ্য-প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার, বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আহম্মদ আলী, যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধক (আরজেএসসি) আবদুল হাই, জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদফতর পরিচালক ড. মো. শাহাদাৎ হোসেন, আইপিএবি ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুর রহমানসহ এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ওই সংলাপে এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেন, রাজস্ব ফাঁকি রোধ নিশ্ছিদ্র করতে চাই। কিন্তু যৌথ মূলধনী অনেক কোম্পানি রয়েছে। তারা অল্প সংখ্যক রাজস্ব দেয়, এটা উদ্বেগের বিষয়। কোম্পানির মধ্যে যারা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে, তা রোধ করতে এনবিআর কাজ করছে। তিনি বলেন, ই-টিআইএন নিবন্ধন ইতিমধ্যে ২৬ লাখ ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম সবাইকে ই-টিআইএন বা করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর নিতে হবে। নজিবুর রহমান বলেন, ৫ লাখ টাকার বেশি ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে ই-টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, ক্ষুদ্র ঋণের ক্ষেত্রে নয়। তবে অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম সবাইকে ই-টিআইএন নিতে হবে। দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, ভোক্তা থেকে ব্যবসায়ীরা ভ্যাট নিলেও সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে পকেটস্থ করেন। ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করে ভ্যাট আদায় করতে পারে এনবিআর। ইসিআর ব্যাপক ব্যবহার বাড়ালে ভ্যাট ফাঁকি কমবে। তথ্য-প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার বলেন, এনবিআরের বড় চ্যালেঞ্জ এনবিআর কর্মকর্তাদের ডিজিটাইজ করা। কর্মকর্তারা ডিজিটাইজ না হলে আকাশ থেকে সফটওয়্যার এনেও এনবিআরকে ডিজিটালাইজড করতে পারবেন না। কর্মকর্তাদের প্রযুক্তি ব্যবহার বাড়াতে হবে। তবে এনবিআর ডিজিটাল হলে রাজস্ব বাড়বে না। ব্যবসা-বাণিজ্য ডিজিটাল হতে হবে। সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে বাংলা ব্যবহার বাড়াতে হবে।

সর্বশেষ খবর