বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

দাঁড়িপাল্লা বাদ দিতে সরকারের সম্মতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ‘দাঁড়িপাল্লা’ বাদ দিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিধিমালা সংশোধনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। গতকাল রাজধানীর বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বিচারকদের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধনের পর প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। মন্ত্রী বলেন, সুপ্রিম কোর্টের একটি প্রশাসনিক আদেশ বিবেচনা করে নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ‘দাঁড়িপাল্লা’ ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তারা আমাদের কাছে পাঠিয়েছিল, এটা ভেটিং করে দেওয়ার জন্য। তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রতীক বানানোর এখতিয়ার কমিশনের। তারা কোনো প্রতীক বানাতে বা বাদ দিতে পারে। আমার কাছে পাঠানো হয়েছে যে, তারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা ঠিক কিনা, আইনত যেহেতু তারা পারে, সেহেতু আমরা বলে দিয়েছি এটা ঠিক। আইনমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি আলাপ-আলোচনা করছেন। এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনার পরে রাষ্ট্রপতি যে সুপারিশ করবেন আমরা তা মানতে বাধ্য। পুরনো হাইকোর্ট ভবন থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সরানোর বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একাধিকবার চিঠি চালাচালি হয়েছে। এর শেষ কোথায় এমন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমি শেষ অবস্থানটা বলতে পারব না, এ কারণে যে যতবারই আমি সুপ্রিম কোর্ট থেকে আদেশ (ট্রাইব্যুনাল সরাতে) পাব ততবারই সে আদেশ পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানাব। উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ হবে কি-না এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, হাই কোর্ট এবং আপিল বিভাগের বিচারপতি সংকট দেখা দিলে আমরা বিচারপতি নিয়োগে রাষ্ট্রপতির কাছে অনুরোধ জানাব। এটা চলমান প্রক্রিয়া। বিচারপতি নিয়োগে আইন এ বছরের মধ্যেই করব। এর আগে বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মুসা খালেদের সভাপতিত্বে স্পেশাল জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল জজ এবং সমপর্যায়ের বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী বলেন, এই সরকার আসার পর বিচার বিভাগের ওপর নির্বাহী বিভাগের কোনো হস্তক্ষেপ হয়নি। সরকার সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ পুরোপুরিভাবে মেনে চলছে এবং বিচার বিভাগের ওপর কোনো হস্তক্ষেপ করছে না—এটিও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার একটি দৃষ্টান্ত।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর