বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ওবায়দুল কাদের

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রসংসদ নির্বাচন দিতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রসংসদ নির্বাচন দিতে হবে

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে হলে ছাত্রলীগকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। অনুপ্রবেশকারী ও পরগাছামুক্ত ছাত্রলীগ চাই। মেধা দিয়ে, যোগ্যতা দিয়ে, তোমাদের আচরণ দিয়ে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কাছে ছাত্রলীগকে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। ছাত্রলীগকে সুনামের ধারায় থাকতে হবে। গতকাল দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ছাত্রলীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে কথায় কথায় কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। এটা খুব অশুভ প্রবণতা। কর্তৃপক্ষের চরম ব্যর্থতা। যদি অভ্যন্তরীণ গোলমালের জন্য পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়, সেটার জন্য আমাদের সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা আছে। যে গোলমাল করবে তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করতে হবে। কিন্তু এই অজুহাতে একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে অগণিত ছাত্রছাত্রীর জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা সিন্ডিকেটের কাজ নয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটও চলবে না। অনির্দিষ্টকালের বন্ধ ঘোষণাও চলবে না। এটা যারা করে, তাদের ব্যর্থতা। বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোর ছাত্র সংসদ নির্বাচনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের ছাত্র সংসদ নির্বাচন করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে গণতন্ত্র অব্যাহত রাখার জন্য ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। নির্বাচন যখন হবে, তখন প্রার্থীরা ভাববেন- আমি যদি খারাপ আচরণ করি, তাহলে ভোটাররা আমাকে নির্বাচনে ভোট দেবে না। সে এমনিতেই সংশোধন হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ায় জাতীয় নেতৃত্বে নতুন নেতা আসছে না। ছাত্রলীগকে বিতর্কে ঊর্ধ্বে রাখার বিষয়ে কিছু দিকনির্দেশনাও দেন কাদের। তিনি বলেন, বিতর্কিতদের দিয়ে ছাত্রলীগের কমিটি করা যাবে না। নিয়মিত ছাত্রদের দিয়ে কমিটি করতে হবে, সেই ধারা শুরুও হয়েছে। ত্যাগী কর্মীরা যেন কোণঠাসা না হয়। ছাত্রলীগে যেন পকেট কমিটি কোথাও না হয়। এটা আমি বিশেষভাবে বলছি। আজকে অমুকের এই ভাগ, তমুকের ওই ভাগ। এই ভাগাভাগি করলে ছাত্রলীগের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হবে। ছাত্রলীগের সুনাম ক্ষুণ্ন হবে। ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ২০১৭ সালের অঙ্গীকার অনুপ্রবেশকারী ও পরগাছামুক্ত ছাত্রলীগ চাই। এই পরগাছা ও অনুপ্রবেশকারীরা হচ্ছে ছাত্রলীগের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান বাধা। এদের চিহ্নিত করতে হবে। ছাত্রলীগের বিভিন্ন কমিটি গঠনের সময় সতর্ক থাকতে হবে- যেন পরগাছা দলের মধ্যে অনুপ্রবেশ করে বিভিন্ন জায়গায় সমস্যা সৃষ্টি না করে। চিহ্নিত কয়েকজন পরগাছার জন্য বদনাম হয় গোটা পার্টির। বদনাম হয় সরকারের। ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। এতে ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, দীপু মনি, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আবদুল মান্নান, অসীম কুমার উকিল, আহমদ হোসেন, এনামুল হক শামীম, আবদুস সোহবান গোলাপ, ইসহাক আলী খান পান্না, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দেলোয়ার হোসেন, আমিনুল ইসলাম আমিন, সাইফুজ্জামান শিখর, অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, লিয়াকত শিকদার, মাহমুদ হাসান রিপন, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর