বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

সাম্যবাদী দলের ৯ দফা ও ন্যাপের ৮ দফা পেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন কমিশন বা ইসির সার্চ কমিটি গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ অব্যাহত রেখেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। নতুন ইসি গঠনে ১২ ও ১৩তম দল হিসেবে নিজ নিজ দলের প্রস্তাব নিয়ে গতকাল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ, মোজাফ্ফর) এবং বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএল)। প্রবীণ রাজনীতিবিদ অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলের কার্যকরী সভাপতি মিসেস আমিনা আহমেদ এমপি। অন্যদিকে সাম্যবাদী দলের নেতৃত্ব দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া। সার্চ কমিটি গঠনে সাম্যবাদী দল ৯ দফা ও ন্যাপ (মোজাফ্ফর) ৮ দফা প্রস্তাব পেশ করেছে। বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপে অংশগ্রহণ শেষে বিকালে বঙ্গভবনের প্রবেশপথের সামনে দাঁড়িয়ে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘নির্বাচনকে ফ্রি-ফেয়ার করতে সমস্ত শক্তি নিয়োগের অনুরোধ করেছি আমরা, যেন একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি সরকার গঠন করতে পারে। পাশাপাশি বিরোধী দলেও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিই থাকতে পারে।’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি তার কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছে, তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি নয়। তারা এখনো জামায়াত দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। জামায়াতের সঙ্গ ছাড়তে না পারলে বিএনপিকে মুসলিম লীগের পরিণতি বরণ করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সাম্যবাদী দলের এই নেতা বিএনপিসহ অন্যান্য দলের প্রস্তাবনায় নির্বাচনকালীন প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার বিরোধিতা করে বলেন, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। সাম্যবাদী দলের প্রস্তাব সম্পর্কে দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন তৈরির কথা বলেছি। একই সঙ্গে আমরা আইন অনুযায়ী কমিশনারদের নিয়োগের জন্য একটি সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠনেরও প্রস্তাব করেছি। এ ছাড়া যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত বা দণ্ডিত বা তাদের সন্তানদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে নিষিদ্ধ করার কথাও বলেছি।’ সাম্যবাদী দলের লিখিত প্রস্তাবনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে আহ্বায়ক, প্রধান বিচারপতির প্রতিনিধি, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি ও শিক্ষাবিদ প্রতিনিধিদের নিয়ে অনুসন্ধান কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ কমিটির প্রস্তাব চূড়ান্ত করার জন্য জাতীয় সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটিতে প্রেরণ এবং সে মোতাবেক কমিশন গঠনের কথা বলা হয়েছে। এদিকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় ন্যাপের (মোজাফ্ফর) কার্যকরী সভাপতি মিসেস আমিনা আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কোনো আইনই প্রণীত হয়নি। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে আইন প্রণয়নের কথা বলেছি।’ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শক্তিশালী করার জন্য যা করা দরকার তা করবেন বলে রাষ্ট্রপতি আশ্বস্ত করেছেন বলে জানান উভয় নেতা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর