শুক্রবার, ৬ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা বাধা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা বাধা

বরিশালে বিএনপি কার্যালয়ে ঢুকে গতকাল নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায় যুব ও ছাত্রলীগ —বাংলাদেশ প্রতিদিন

গ্রেফতার, ফাঁকা গুলি, হামলাসহ নানা বাধার মধ্য দিয়ে গতকাল সারা দেশে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে কালো পতাকা মিছিল করেছে বিএনপি। বরিশাল, সিলেট, ময়মনসিংহ, জয়পুরহাট, নোয়াখালী, নওগাঁ, কিশোরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, বাহ্মণবাড়িয়াসহ বেশ কয়েকটি জেলায় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। বরিশালে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বেধড়ক লাঠিপেটা করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এতে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। সারা দেশে কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে অর্ধশত গ্রেফতার ও সমসংখ্যক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। রাজধানীতে বিএনপির ৫ জানুয়ারির কোনো কর্মসূচি ছিল না। এদিন বিশেষ আদালতে হাজিরা দেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। নেতা-কর্মীরা যখন আদালতমুখী দুপুরে তখন প্রজন্ম লীগের কিছু নেতা-কর্মী নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা চালায়। এ সময় তারা কার্যালয়ের সামনে টাঙানো বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ভাঙচুর করে। এদিকে গতকালের কর্মসূচি পালন করতে সকালে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে টুইটার বার্তাও দেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। নেতা-কর্মীসহ সর্বসাধারণের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র ও  ভোটাধিকার হরণের দিন ৫ জানুয়ারিতে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিন।’ আগামীকাল ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কালো পতাকা নিয়ে সমাবেশ করবে দলটি। এ নিয়ে গতকাল বিকালে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আগামীকালের সমাবেশ করার অনুমতি পাবে বলে আশা দলটির। সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের জলকামান, এপিসি এবং প্রিজন গাড়ি রাখা ছিল। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের ২৫-৩০ জন নেতা-কর্মী নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে হামলা করে। এ সময় তারা কার্যালয়ের সামনে টাঙানো খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি-সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে। এ সময় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী ছিলেন না। পরে পুলিশি বাধায় চলে যান প্রজন্ম লীগের নেতা-কর্মীরা। বিএনপি কার্যালয়ের এক অফিস সহকারী জানান, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের ব্যানারে ২৫-৩০ জন নেতা-কর্মী মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসে। এরপর হঠাৎ করেই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় ঢোকার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশি বাধায় তারা ঢুকতে পারেনি। এ সময় বেশ কয়েকটি ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে চলে যায় তারা। প্রজন্ম লীগের নেতা-কর্মীরা চলে যাওয়ার পর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীসহ কয়েকজন নেতা-কর্মী।

আমাদের বিভাগীয় নিজস্ব প্রতিবেদক ও জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—

বরিশাল : বরিশাল মহানগরে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে তিন দফা হামলা চালিয়েছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। গতকাল ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালন উপলক্ষে কালো পতাকা মিছিল করতে সকাল থেকেই সদর রোডের দলীয় কার্যালয়ে জড়ো হন দলের নেতা-কর্মীরা। কার্যালয়ের সামনে অবস্থানরত বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর প্রথম হামলা চালানো হয় সকাল সাড়ে ১০টায়। পুলিশের উপস্থিতিতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের অতর্কিত হামলায় দৌড়ে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন নেতা-কর্মীরা। পরে পুলিশ ছাত্রলীগ-যুবলীগকে দূরে সরিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পরই বিএনপি নেতা-কর্মীরা ফের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরু করে। বেলা পৌনে ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আবার পুলিশের সামনে লাঠিসোঁটা নিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর দ্বিতীয় দফা হামলা চালায়। এ সময় তারা বিএনপি দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে। দুপুরের দিকে নেতা-কর্মীরা বেরিয়ে যাওয়ার সময় আরেক দফা হামলা চালায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। তিন দফা হামলায় বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয় বলে অভিযোগ করেছেন বরিশাল মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন শিকদার জিয়া।

বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার অভিযোগ করেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা চালিয়ে ক্ষমতাসীনরা আবারও তাদের স্বৈরাচারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই দফা হামলার পর বিএনপি তাদের দলীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশের প্রহরায় মহানগর বিএনপির সভাপতি সরোয়ারের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয় ত্যাগ করে। সদর রোডের হোটেল আলী ইন্টারন্যাশনাল হোটেল পর্যন্ত হেঁটে যাওয়ার পর সরোয়ার গাড়িতে উঠে বাসায় চলে যান। তিনি গাড়িতে ওঠার পরপরই আওয়ামী লীগের একদল নেতা-কর্মী তৃতীয় দফায় হামলা চালায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর। এ হামলায় মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন শিকদার জিয়াসহ কয়েকজন আহত হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে যুবলীগের একদল নেতা-কর্মী বিএনপি অফিসের মাইক খুলে নেয়। জিয়া অভিযোগ করেন, এ হামলা পরিকল্পিত। পুলিশের সহযোগিতায় তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ। এদিকে বিএনপির সমাবেশে তিন দফা হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে মহানগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবু বলেন, বরিশালে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল রয়েছে। এই কোন্দলের কারণে তারা নিজেরা সংঘাতে জড়িয়ে আওয়ামী লীগের ওপর দায় চাপাচ্ছে।

পুলিশের সামনে তিন দফা হামলার বিষয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) গোলাম রউফ খান বলেন, দুটি রাজনৈতিক দল পাশাপাশি দূরত্বে অবস্থান নিয়েছিল। বিএনপি আওয়ামী লীগের জমায়েতের ওপর বোতল ছুড়ে মেরে নেতা-কর্মীদের উত্তেজিত করেছে। পরে তারা বিএনপির ওপর হামলা করেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

জয়পুরহাট :  সকালে  কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গণতন্ত্র হত্যা দিবসে জেলা বিএনপির উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে রেলগেট এলাকায়। পুলিশ মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালায়।  মিছিল ঘুরে জেলা অফিসে অবস্থান নেয়। সেখানে প্রতিবাদ সভায় জেলা বিএনপির সভাপতি মোজাহার আলী প্রধান শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের গুলি চালানোকে স্বৈরাচারী আচরণ বলে উল্লেখ করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন জানান, মিছিল থেকে গুলি চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। নোয়াখালী : জেলা শহর মাইজদী ও দত্তেরহাটে কালো পতাকা মিছিলে পুলিশ মিছিলে বাধা দিয়ে লাঠিচার্জ করে। মাইজদীর মিছিলে নেতৃত্বে দেন শহর বিএনপির সভাপতি আবু নাসের। এ ছাড়া স্থানীয় নেতা সলিম উল্লাহ বাহার হিরন, জাফর উল্লাহ রাসেল, ভিপি জসিম উদ্দিন, ওমর ফারুক টপি, ছাত্রদলের নূরুল আমিন খান, ছাবের আহমেদ প্রমুখ অংশ নেন। দত্তবাড়ীর মোড় এলাকায় বিএনপি কালো পতাকা নিয়ে আরেকটি মিছিল বের করলে পুলিশের বাধায় তা পণ্ড হয়ে যায়। এতে আহত জাফর উল্লাহ রাসেল ও আবদুল জব্বার ক্যাপ্টেন, রিয়াজ উদ্দিনসহ পাঁচজন আহত হয়। পুলিশ মিছিল থেকে বিএনপি নেতা মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। নওগাঁ : জেলা বিএনপির দলীয় অফিস থেকে বের হওয়া কালো পতাকা মিছিলে বেধড়ক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু ও সদর থানার পুলিশসহ কমপক্ষে ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়। পুলিশের লাঠিচার্জের পর ধাওয়া করে মুক্তির মোড় এলাকা থেকে পুলিশ জেলা যুবদলের সভাপতি বায়েজিদ হোসেন পলাশসহ ১১ জনকে আটক করে। দুপুরে নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নুর নেতৃত্বে একটি মিছিল দলীয় অফিস থেকে বের হয়ে মুক্তির মোড়ের দিকে যেতে থাকে। মিছিলটি মুক্তির মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ মিছিলের বাধা দিয়ে ব্যানার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বাগিবতণ্ডার একপর্যায়ে পুলিশ মিছিলে বেধড়ক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পুলিশের লাঠিচার্জে জেলা বিএনপি আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু, জেলা মহিলা দলের সদস্যসচিব ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শবনম মোশতারী কলি, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক শফিউল আজম টুটুল, ছাত্রদল নেতা রুহুল আমিন মুক্তার, ছাত্রদল নেতা আবদুল কাদের রাসেল, যুবদল নেতা আলাল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের শহর শাখার সভাপতি আসিফ ইকবাল ওথেলো, মহিলা দলের লাকী আক্তারসহ কমপক্ষে ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু, মহিলা দলের শবনম মোশতারী কলি ও লাকী আক্তারকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর লাঠিচার্জের পর মুক্তির মোড় থেকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিককে আটক করা করে নিয়ে যাওয়া হলেও পরে তাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, বিএনপি নেতা-কর্মীদের হামলায় নওগাঁ সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর সামসুল আলম, এসআই শহিদুল ইসলাম, এএসআই হুমায়ুন কবির ও নায়েক আল আমিন গুরুতর আহত হয়েছেন। এ সময় মুক্তির মোড় এলাকা থেকে জেলা যুবদলের সভাপতি বায়েজিদ হোসেন পলাশ, ছাত্রদল নেতা খায়রুল আলম গোল্ডেন, জাকারিয়া রোমিও, খলিলুর রহমান, তৌফিকুর রহমান লালু, শহিদুল ইসলাম মোহন, তারিকুল ইসলাম, আলাল মন্ডল, জামাল শেখ, গোলাপ মন্ডল, মতিউর রহমান বুলুসহ ১১ জন নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়। তিনি জানান, বিএনপির মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে একটি মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় জেলা যুবদলের সভাপতিসহ আটক ১১ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

নরসিংদী : বিকেল ৪টার দিকে শহরের চিনিশপুরে জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় থেকে একটি কালো পতাকা মিছিল বের করা হয়। বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকনের নেতৃত্বে মিছিলটি কিছুদূর এগোলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীরা বাগিবতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের ভেতর গিয়ে আশ্রয় নেয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান উদ্দিন মোল্লা, ফারুক ভূঁইয়া প্রমুখ।

ময়মনসিংহ : দুপুরে জেলা বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল করতে চাইলে পুলিশের বাধা দেয়। নগরীর নতুনবাজারের দক্ষিণ জেলা বিএনপির কার্যালয় ঘিরে রাখে পুলিশ। বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের নেতৃতে জেলা বিএনপির নেতারা দলীয় কার্যালয়ে ঢুকতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। সিলেট : বেলা ১১টায় নগরীর আম্বরখানায় মিছিলের জন্য জড়ো হন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। জেলা সভাপতি আবুল কাহের শামীম, সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ ও মহানগর সভাপতি নাসিম হোসাইনের নেতৃত্বে মিছিল বের হওয়ার আগেই বাধা হয়ে দাঁড়ায় পুলিশ। পুলিশি বাধায় নেতা-কর্মীরা মিছিল করতে না পেরে ফিরে যান।নারায়ণগঞ্জ : প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সকালে শপথ গ্রহণ শেষে বিকেলে নারায়ণগঞ্জ ফিরে দলীয় কর্মসূচি থেকে তিন সহযোগীসহ গ্রেফতার হয়েছেন সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। বিকেলে নগরীর ডিআইটি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বগুড়া : বিকালে শহরের নবাববাড়ী সড়কের দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল বের হওয়ার পর পুলিশের কাঁটাতারের মধ্যে পড়ে। পরে সেখানেই কালো পতাকা মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে জেলা বিএনপি। এ সময় শহরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কড়া প্রহরা বসানো হয়। বগুড়া জেলা বিএনপি শহরের নবাববাড়ী রোডে সমাবেশের ডাক দেয়। শেরপুর : দুপুরে শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেলের গৃদানারায়ণপুরের বাসার সামনে থেকে কালো পতাকা মিছিল বের করার চেষ্টা করেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে সমাবেশ না করতে পেরে রাস্তায় কিছুক্ষণ অবস্থান করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জে বিএনপির কালো পতাকা মিছিল পুলিশি বাধার কারণে অনুষ্ঠিত হয়নি। বেলা ১২টার দিকে শহরের কালীবাড়ী মোড়-সংলগ্ন মুক্তমঞ্চ এলাকা থেকে জেলা বিএনপির মিছিলটি বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ আটকে দেয়। পরে সেখানেই তাত্ক্ষণিক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সর্বশেষ খবর