রবিবার, ৮ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

রহস্য উদঘাটনে অগ্রগতি নেই, গ্রেফতার আরও ৬

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

রহস্য উদঘাটনে অগ্রগতি নেই, গ্রেফতার আরও ৬

সুন্দরগঞ্জের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মনজুরুল ইসলাম লিটন হত্যার আট দিন পার হলেও হত্যা রহস্য উদঘাটিত হয়নি বা মূল আসামিও গ্রেফতার হয়নি। সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ শুক্রবার রাতে বিভিন্ন এলাকা থেকে ছয় জামায়াত নেতাকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল বিকালে তাদের গাইবান্ধার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাল আবেদিনের আদালতে তোলা  হয়। সেখানে পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের আবেদন করে। কিন্তু সন্ধ্যা ৬টায় আদালতের বিচারক আজ রবিবার শুনানির দিন ধার্য করেন। সুন্দরগঞ্জে রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা হলে দেখা যায় হত্যার কারণ উদঘাটন না হওয়া এবং খুনিরা ধরা না পড়ায় অনেকের মধ্যেই নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনসহ রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা গেছে। এদিকে পুলিশ সূত্র থেকে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে প্রকৃত কোনো তথ্যই পাওয়া যাচ্ছে না। তারা তদন্তের কারণ দেখিয়ে এখনো বিষয়টি চাপা রাখছেন। এমনকি গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো সত্ত্বেও তাদের সংখ্যা বা নাম জানাতেও তারা গড়িমসি করছেন। গ্রেফতার ও রিমান্ড প্রসঙ্গে আদালতের পুলিশের উপপরিদর্শক শাহ আলম জানান, গ্রেফতারকৃতরা হলেন— সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রামভদ্র কদমতলা গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে হাজী মো. ফরিদ মিয়া (৭০), নিজপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে সামিউল ইসলাম (৩২), খামারপাচগাছী গ্রামের একরামুল হোসেনের ছেলে হাদিসুর রহমান (৩০), উত্তর হাতিবান্দা গ্রামের রোস্তম আলীর ছেলে জিয়াউর রহমান (৩২), রামভদ্র খানাবাড়ী গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে হজরত আলী (৪৪) ও পূর্ব শিবরাম গ্রামের সাবু খন্দকারের ছেলে নবিনুর খন্দকার (৩৫)।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুন্দরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক আবু হায়দার মো. আশরাফুজ্জামান জানান, হাজী মো. ফরিদ মিয়া জামায়াত-শিবিরের অর্থ জোগানদাতা। এ ছাড়া বাকিরাও সবাই জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে এমপি লিটন হত্যায় অনেক কিছু জানা যাবে। সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আতিয়ার রহমান জানান, লিটন হত্যা মামলায় এ ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিক্ষোভ : মনজুরুল ইসলাম লিটন হত্যার প্রতিবাদে গতকালও বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন এলাকাবাসী। বিকালে উপজেলার বামনডাঙ্গা বন্দরে একটি শোক র‌্যালি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সমেশ উদ্দিন বাবুর সভাপতিত্বে বামনডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। এতে অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন— ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল গফফার চাকলাদার, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহিদ, ছাত্রলীগ নেতা আশিকুর রহমান, উপজেলা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম রানা, নাদিম হোসেন, ফয়সাল সাকিদার প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর