রবিবার, ৮ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

সেনাপ্রধান ছিলাম রাজনীতিবিদ হতে পারিনি : এরশাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সেনাপ্রধান ছিলাম রাজনীতিবিদ হতে  পারিনি : এরশাদ

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ‘সেনাপ্রধান ছিলাম। রাজনীতিবিদ হওয়ার চেষ্টা করেছি, পারিনি। কারণ এ পথ খুব পিচ্ছিল।’ তিনি বলেন, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির, বিনিয়োগ শূন্যের কোঠায়। ব্যাংকে টাকার পাহাড়, বিনিয়োগ করার কেউ নেই।

যুবসমাজ আজ বিপথে চলে যাচ্ছে কর্মের অভাবে। গতকাল রাজধানীর কাকরাইলে এস এ টাওয়ার উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। অনুষ্ঠানে এস এ টাওয়ারের স্বত্বাধিকারী সালাউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন সাবেক মন্ত্রী সিনিয়র অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়, মীর আবদুস সবুর আসুদ, মেজর মো. খালেদ আখতার (অব.), হাজী সাইফুদ্দিন মিলন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান খান, যুগ্ম-মহাসচিব কাজী আশরাফ সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় নেতা এম এ রাজ্জাক খান, নাজমুল খান, নাজিম চিশতী, আরিফুল ইসলাম রুবেল, ওয়াহিদুর রহমান প্রমুখ। এরশাদ বলেন, “রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রেসিডেন্ট রিগ্যানের আমন্ত্রণে হোয়াইট হাউসে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলাম। রিগ্যান তার আত্মজীবনী বইয়ে লিখেছেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় এমন একজন রাষ্ট্রপধান আছেন, যার মাঝে আমি দেশপ্রেম ও উন্নয়নের স্পৃহা দেখতে পেয়েছি, তিনি হলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ’। যখন সৌদি সফরে গিয়েছিলাম তখন বাদশাহসহ মন্ত্রিসভার সব সদস্য বিমানবন্দরে আমাকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন, পৃথিবীর কেউ এ সম্মান পাননি। এমনকি আমেরিকার কোনো প্রেসিডেন্টও পাননি।” আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘তার পরও আমি স্বৈরাচার! আমার হাতে কজনের রক্তের ছোঁয়া আছে? আমার হাতে রক্তের দাগ নেই, যে কারণে আমি বেঁচে আছি। আমি লাগাতার ছয় বছর জেলে ছিলাম। এ দেশের কোনো নেতা লাগাতার এত বছর জেল খাটেননি।’ তিনি আরও বলেন, ‘১৯৮৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আমি যমুনা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি। ১০ হাজার কিলোমিটার পাকা রাস্তা করেছি, ৫০৮টি ব্রিজ করেছি। ৪৬০টি উপজেলা করে গ্রাম পর্যায়ে উন্নয়নের ছোঁয়া দিয়েছি। কিন্তু কোথাও আমার নাম নেই। আমার নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে।’ এরশাদ বলেন, ‘হূদয়ে লেখা নাম মোছা যাবে না। আমি জনগণের হূদয়ে আছি।’

সর্বশেষ খবর