রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা ছাড়া ইসলামী ব্যাংকের কারও চাকরি যাবে না বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান আরাস্ত খান। তবে কারও বিরুদ্ধে সরাসরি রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকাল সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংকে যেসব রদবদল হয়েছে সেগুলো স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হয়েছে। যারা পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করবে তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। ‘কেউ যদি রাজনৈতিক তৎপরতা না চালায় বা এ ধরনের কাজে সম্পৃক্ত না হয় তা হলে ভয়ের কোনো কারণ নেই।’ আরস্ত খান জানান, ‘আই স্যাল অ্যাসিউর দ্যাম। আমরা উইচ হানটিং করে কারও চাকরি খাবো না। কারণ ব্যাংকটি ভালো করছে। কর্মকর্তারাও ইফিসিয়েন্টলি কাজ করছে। যদি পলিটিক্যাল কোনো সম্পৃক্ততা থাকে বা সাবভারসিভ কোনো কাজে জড়িত হয় তাহলে আমরা তাকে কোনোভাবেই অ্যালাও করব না। তবে আমি উইচ হান্টিং পছন্দ করি না। ‘যদি দেখা যায় পলিটিক্যাল অ্যাসপিরেশন আছে। আমরা এটা চাই না। আমরা প্রফেশনাল লোক চাই। এখানে প্রফেশনাল কাজ হবে। ইউ হ্যাব টু বি এ প্রফেশনাল। ইউ আর ডুইং প্রফেশনাল জব। সবাই প্রফেশনালি কাজ করবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হয়নি। জানুয়ারি আসলে ব্যাংকে পরিবর্তন হয়। খুবই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, ‘আপনি তো ভোট দেন। কেউ আওয়ামী লীগে, কেউ বিএনপিতে ভোট দেয়। কিন্তু আমরা চাই না এর রিফলেকশন ব্যাংকে আসুক। ধরুন কেউ যদি টাকা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে অন্য জায়গায় পাঠায় সেটা তো ঠিক হবে না।’ অপর এক প্রশ্নের জবাবে আরাস্ত খান বলেন, কোনো শঙ্কা নেই। ইসলামী ব্যাংক সলিডলি ইউনাইটেড। সবাইকে নিয়ে বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ব্যাংকের অগ্রগতি থমকে যাওয়ার সুযোগ নেই। ইতিমধ্যে শেয়ার মার্কেটে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার মূল্য বেড়েছে।’ তিনি বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী জানতে চেয়েছেন ব্যাংকটির অবস্থা কী। আমি বলেছি ব্যাংকটি খুবই ভালো চলছে। এর ফাইন্যান্সসিয়াল অবস্থা খুবই ভালো। ২ হাজার ৩ কোটি টাকা গত বছরের প্রফিট। তাদের ২৭ শতাংশ রেমিট্যান্স। নন পারফরমেন্স লোন সাড়ে ৩ শতাংশ মাত্র। ডিপোজিট টু ইনভেস্টমেন্ট রেশিও ৮৮ শতাংশ। ভেরি ইমপ্রেসিভ নম্বর। খুবই ভালো অবস্থা ব্যাংকটির।
