শনিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

হাজার টন কয়লা নিয়ে সুন্দরবনে ডুবল কার্গো

বাগেরহাট প্রতিনিধি

সুন্দরবন উপকূলের বঙ্গোপসাগরের ১২ নম্বর ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় ১ হাজার ১০ মে. টন  কয়লা বোঝাই একটি কার্গো ডুবে গেছে। তবে এমভি আইচগাতী নামের ওই কার্গোতে থাকা সব নাবিক-ক্রুসহ ১৪ জনকে বঙ্গোপসাগরে ভাসতে দেখে পাশ দিয়ে যাওয়া বসুন্ধরা গ্রুপের ‘এমভি বসুন্ধরা-৩৭’ জাহাজ তাদের উদ্ধার করে মংলায় নিয়ে এসেছে। গতকাল সকাল সাড়ে দশটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মংলা  কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। মংলা কোস্টগার্ডের মিডিয়া উইং জানায়, ইন্দোনেশিয়ার পতাকাবাহী মাদার ভেসেল ‘এমভি লেডী মেরী’ কয়লা বোঝাই করে গত ২৪ ডিসেম্বর মংলা বন্দরের আউটার এ্যাংকরেজে আসে। গত ২দিন আগে এই মাদার ভেসেলটি  থেকে বঙ্গোপসাগরে মংলা বন্দর চ্যানেলের ১২ বয়ার কাছে লাইটারেজ কার্গোতে কয়লা খালাসের কাজ শুরু করে। গতকাল সকাল সাড়ে দশটার দিকে এমভি আইচগাতী নামের লাইটারেজ জাহাজটি ১ হাজার ১০ টন কয়লা বোঝাই করে যশোরের আমদানিকারক নওয়াপাড়া টেডার্সের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার পরপরই তলা ফেটে গভীর সাগরে ডুবে যায়। এ সময় এই কার্গোটিতে থাকা সব নাবিক ও ক্রুসহ ১৪ জনকে হিরনপয়েন্টের সুন্দরবন উপকূলে বঙ্গোপসাগরে ভাসতে দেখে পাশ দিয়ে যাওয়া বসুন্ধরা গ্রুপের ‘এমভি বসুন্ধরা- ৩৭’ জাহাজ তাদের উদ্ধার করে মংলায় নিয়ে আসে। কার্গোটির সব নাবিক ও ক্রু সুস্থ আছে। কার্গোডুবির ওই স্থানটির গভীরতা অনেক বেশি থাকার ফলে মংলা বন্দর চ্যানেল দিয়ে জাহাজ চলাচলে কোনো ক্ষতি বা ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক বিভাগের পরিচালক মো. আ. সালাম। এর আগে ২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের অঁদপাই রেঞ্জের শ্যালা নদীতে তেলবাহী ট্যাংকার ডুবির ঘটনায় বিপর্যয়ে পড়ে ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ এ বনটি। একইভাবে সুন্দরবন ও মংলা বন্দর চ্যানেলে ২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর ও ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ দুটি কয়লা বোঝাই লাইটারেজ জাহাজ ডুবে পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়ে সুন্দরবন।

সর্বশেষ খবর