শনিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

ট্রাম্পকে বরণে প্রস্তুত হোয়াইট হাউস

প্রতিদিন ডেস্ক

ট্রাম্পকে বরণে প্রস্তুত হোয়াইট হাউস

আর ঠিক এক সপ্তাহ। তার পরেই গোটা বিশ্বের মোড়ল যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষমতাবান বা প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাধারণত কোনো দেশের প্রধান হিসেবে একজন রাজনীতিদেরই সর্বোচ্চ পদে বসার কথা। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে এবার হচ্ছে পুরোটা উল্টা। দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন যতটা না রাজনীতিবিদ তার চেয়ে বড় একজন পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী। আগামী শুক্রবার শপথ নেবেন ট্রাম্প। এজন্য সব প্রস্তুতি শেষ করেছে হোয়াইট হাউস কর্তৃপক্ষ। তাকে বরণ করে নিতে ঢেলে সাজানো হচ্ছে হোয়াইট হাউসকে। তবে তিনি প্রথম দিন থেকেই তার এই সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউসে থাকবেন কি না সে সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো ঘোষণা দেননি। সরকার গঠনের প্রস্তুতি তিনি ইতিমধ্যে তার লাক্সারিয়াস ট্রাম্প টাওয়ার থেকেই শেষ করে এনেছেন। এরমধ্যে মন্ত্রী পরিষদ ও উপদেষ্টা পরিষদের অনেক সদস্যের নাম ঘোষণা করেছেন। অবশ্য যাদের মধ্যে অনেক বিতর্কিত ব্যক্তিও রয়েছেন। আমেরিকাকে ‘শ্রেষ্ঠত্বের’ মুকুট ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের সামনে হাজির হওয়ার অনেক আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিনত দেশটির সবচেয়ে রঙদার, সবচেয়ে জাঁকালো ধনকুবের হিসেবে। বছর কয়েক আগে তার স্বজনরা ভাবতে পারেননি, ব্যবসায়ী ট্রাম্প ৭০ বছর বয়সে এসে আমেরিকার রাজনীতির একেবারে কেন্দ্রে আবির্ভূত হবেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন একজন মানুষ যিনি রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী আর অধিকারকর্মীদের বিরাট অনাস্থা এবং একের পর এক যৌন হয়রানির অভিযোগ সামাল দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। ফলাফল ঘোষণার আগের দিনও ওই যৌন কেলেঙ্কারি নিয়ে সরগরম ছিল মার্কিন মিডিয়া। আর এখন গোটা বিশ্ব অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তিনি আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বকে নিয়ে কোন পর্যায়ে নিয়ে যান। মূলত ১৯ জানুয়ারি থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের কার্যত্রম শুরু হবে। সেই দিন ভার্জিনিয়ার অরলিংটনে জাতীয় সমাধিক্ষেত্রে দেশটির বীর সেনানিদের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রেসিডেন্ট ও ভাইচ প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করবেন। এরপর লিনকল মেমোরিয়ালে তাদের উদ্দেশে সংগীত পরিবেশন করা হবে। এরপর সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। অর্থ ২০ জানুয়ারি স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটাল বিল্ডিংয়ে তাদের শপথ পাঠ করানো হবে। শপথ করাবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্ট জুনিয়র। এ সময় প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের পরিবারের সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান, কূটনীতিক প্রধানরা উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া শপথ অনুষ্ঠানে নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটন, সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, জর্জ ডব্লিই বুশ, ফার্স্ট লেডি লরা বুশ ও জিমি কার্টার উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে সাবেক জীবিত প্রেসিডেন্টদের উপস্থিত থাকা রীতি অনেক আগ থেকে চলে আসছে। তবে জীবিত থাকলেও জর্জ বুশের বাবা সিনিয়র বুশ স্বাস্থ্যগত কারণে উপস্থিত থাকবেন না বলে জানানো হয়েছে। শপথ নেওয়ার পর রাষ্ট্রীয় কূচকাওয়াজে যোগ দেবেন প্রেসিডেন্ট। পরের দিন শনিবার জাতীয় প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওয়াশিংটনে জাতীয় ক্যাথেড্রালে এই প্রার্থনা সভা হবে। এদিকে শপথ অনুষ্ঠানে দেশি বিদেশি কয়েক হাজার অতিথি উপস্থিত থাকবেন বলে রাষ্ট্রপতির দফতর থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। নিউজউইক।

 

গুডবাই ওবামা বিশেষ আয়োজন পৃষ্ঠা ৫ - রকমারি

সর্বশেষ খবর