শনিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগ নেতা আনন্দ প্রকাশ করলেন গুলি ছুঁড়ে

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌরসভার মেয়র ও ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমুল ইসলাম ছানা ভাইজির বিয়ের অনুষ্ঠান উদযাপন করেছেন ভিন্ন রকম আয়োজনে। গতকাল রাতে বিয়ের অনুষ্ঠানে পরিবারের অন্য সদস্যরা নাচ গান ফুর্তিতে যখন ব্যস্ত, তখন নিজের শটগানটি ঊর্ধ্বে তুলে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়েন। প্রদর্শন করেছেন পিস্তলও। 

এমন দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সৃষ্টি হয় ব্যাপক তোলপাড়। ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ভেড়ামারার পৌর মেয়র শামীমুল ইসলাম ছানার বড় ভাই সাইফুল ইসলাম রানার মেয়ে টিসার বিয়ে ছিল গতকাল। পরিবার আত্মীয়স্বজনদের মতো বিয়ের উৎসব উদযাপনে শামিল হয়েছিলেন মেয়র নিজেও। অন্যরা নেচে গেয়ে হৈহুল্লোড় করে উৎসব উদযাপন করলেও মেয়রের উদযাপনটা ছিল একটু ভিন্ন রকমের। শর্টগানের ফায়ারিংয়ের মাধ্যমে উদযাপন করেন। ফেসবুকের ভিডিও চিত্রে একটি পিস্তলও শোভা পায় তার হাতে। পরে অস্ত্রটি একটি ছেলের হাতে দিয়ে দেন। ভিডিওতে দেখা যায় একটি মেয়ে তাকে গুলি এগিয়ে দিচ্ছে। পর পর দুই রাউন্ড ফায়ার করেন তিনি। গুলি ছোড়ার সময় মেয়রের হাত কেঁপে ওঠে। গুলি ছোড়ার দৃশ্যটি ফেসবুকে লাইফ পোস্ট করেছেন ছানার আত্মীয় সাদমান আল সাবিক। তিনি পোস্টের শিরোনাম দেন রয়েল ওয়েডিং অথবা রাজকীয় বিয়ে। ভিডিও দেখে এক ইউজার কমেন্টস দেয় এভাবে গুলি ছোড়া বেআইনি। পরে পাল্টা জবাবে লেখা দেয় ভেড়ামারায় আমরাই আইন। সচেতন মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে প্রকাশ্যে এমন অস্ত্র প্রদর্শন কতটুকু আইনসিদ্ধ। এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ নুর হোসেন খন্দকার জানান, ফায়ারিংয়ের কোনো অনুমতি তিনি দেননি। কোনরকম ফায়ারিং করতে গেলে থানার অনুমতি প্রয়োজন হয়। এভাবে ফায়ার দেওয়া ঠিক হয়নি। মেয়র শামীমুল ইসলাম ছানা সাংবাদিকদের জানান, আমার লাইসেন্স করা শটগান থেকে বিয়ের অনুষ্ঠানে গুলি ফুটিয়ে কিছুটা আনন্দ করেছি। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছিল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শান্তি মনি চাকমা বলেন, মেয়র তার লাইসেন্স করা শটগান থেকে গুলি ফুটিয়েছেন। কি শর্তে তিনি অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়েছেন, সেটি তারই ভালো জানার কথা।

সর্বশেষ খবর