সোমবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৭.৫ শতাংশ

পরিকল্পনামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৭.৫ শতাংশ

চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, আশা করছি চলতি বছর ২৭ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে। অর্থবছরের প্রথম ৬ মাস দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি ভালো অবস্থানে রয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০১৭ সালের অর্থনীতি ২০১৬ সালের অর্থনীতির চেয়েও শক্তিশালী অবস্থানে থাকবে। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী তার মন্ত্রণালয়ের চলতি বছরের পরিকল্পনা, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি), রেমিট্যান্স, প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস বিষয়ে কথা বলেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক ৬ দশমিক ৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে। চলতি অর্থবছরে বিশ্বব্যাংকের প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস অনেক বেশি, যেটিকে ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, কৃষি, সেবা ও শিল্প খাতের ওপর ভিত্তি করেই প্রধানত জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাড়ে। তবে কৃষিতে প্রবৃদ্ধি সামান্য কমেছে। আমরা কৃষি খাত যান্ত্রিকীকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মন্ত্রণালয়ের অধীন চারটি প্রতিষ্ঠানকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যের কথা জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগকে (আইএমইডি) আরও শক্তিশালী করা হবে। প্রতি বছর সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের পরিধি ও আকার বাড়ছে। এজন্য বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি), বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস), বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) এবং জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি (এনএপিডি) শক্তিশালী করা হবে। মন্ত্রী বলেন, বিআইডিএস বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এটিকে যথাযথভাবে ব্যবহার করা যায়নি। এখন বিআইডিএসকে সেন্টার অব একসিলেন্স হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকার এ সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিচ্ছে। এটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে পুনর্গঠন করা হবে। দেশের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ইস্যুতে গবেষণার পাশাপাশি এখানে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শিক্ষাও দেওয়া হবে। এনএপিডিকেও শক্তিশালী করা হবে। মন্ত্রী বলেন, ২০১৭ সালে পরিকল্পনা হলো একনেক সভায় যে প্রকল্পগুলো পাস হয় তা বাস্তবায়ন হয় কিনা—তা মনিটরিং করব। আগে মনিটর করার ব্যবস্থা রাখা হতো না। ফলে এডিবি বাস্তবায়ন কম হতো।’ ‘বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করতে যদি প্রণোদনা দিতে হয় তা দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর ২০ লাখ লোক চাকরির বাজারে আসছে।’ কীভাবে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবেন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বেসরকারি খাতে প্রণোদনা দিলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া স্থিতিশীল পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করে বড় বড় কোম্পানিগুলো ব্যবসা বাড়াবে। ফলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।’ তিনি বলেন, দেশে রেমিট্যান্স কমেনি। কারণ সঠিক উপায়ে রেমিট্যান্স না এসে হুন্ডির মাধ্যমে আসছে। আবার অনেকে ক্যাশ টাকা না এনে সোনা আনছেন। ফলে এগুলো রেকর্ড না হওয়ায় মনে হচ্ছে রেমিট্যান্স কমেছে। তবে এ খাতে প্রণোদনা দিতে পারলে অবৈধ চ্যানেলগুলো বন্ধ হবে। আমরা ইতিমধ্যেই অবৈধ চ্যানেলগুলো শনাক্ত করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে প্রত্যাশা কী প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার প্রত্যাশা তারা যেন দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, মুদ্রা সরবরাহ ঠিক রাখে, জনগণ বিনিয়োগ করে যেন টাকা পায় এবং সুদহার নিম্নমুখী রাখতে কাজ করে।’

সর্বশেষ খবর