মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
প্রতিক্রিয়া

রায় নিয়ে সন্তুষ্ট পরিবার

দায় র‌্যাবের নয়, ব্যক্তিগত : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রতিদিন ডেস্ক

রায় নিয়ে সন্তুষ্ট পরিবার

নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুন মামলার ফাঁসির রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। এ রায়ে মন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল, রাজনৈতিক নেতাসহ বিভিন্ন মহল থেকেও ইতিবাচক মন্তব্য করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেছেন, এ হত্যাকাণ্ডের জন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে র‌্যাব দায়ী নয়, দায়ী ব্যক্তিগত বা বিপথগামীরা। গতকাল আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক সাখাওয়াত কাওসার ও নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি রোমান চৌধুরী নারায়ণগঞ্জ ঘুরে নিহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। রায় ঘোষণার    পর নিহতদের পরিবারের সবাই সন্তোষ প্রকাশ করেন। তাদের প্রত্যাশা উচ্চ আদালতেও এ রায় বহাল থাকবে। একই সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে রায় কার্যকরের প্রত্যাশা করেন তারা। আইনজীবী চন্দন সরকারের মেয়ে ডা. সুস্মিতা সরকার বলেন, ‘বাবা শিখিয়ে গেছেন কীভাবে অন্যের জন্য স্যাক্রিফাইস করতে হয়। বাকি ৬ জন কারা ছিলেন তা তিনি জানতেনও না। কেউ তার আত্মীয় কিংবা পরিচিতও ছিলেন না। দিনদুপুরে একটি গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রীদের অপহরণ করে নিয়ে যাবে, বাবা তা মেনে নিতে পারেননি। বিবেকের তাড়নায় তিনি গাড়ি থেকে নেমে যান। ঘটনার কারণ সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন অপহরণকারীদের কাছে। এটাই ছিল আমার বাবার অপরাধ।’ তিনি বলেন, ‘আমার বাবা সারা জীবন ন্যায়বিচারের জন্য কাজ করেছেন। আজকে তার আত্মা শান্তি পাবে। আমরা খুশি হয়েছি, তবে শান্তি পাব রায় কার্যকর হলে। আমার বাবা ছিলেন একজন অসম্ভব সৎ মানুষ। আমরা তাকে বলতাম আমাদেরই তো নেই তুমি মানুষকে সবকিছু কীভাবে দাও। বাবা বলতেন, আমি যখন না থাকব, তখন দেখবে তোমাদেরও কেউ না কেউ সাহায্য করছে। এখন বাবার কথাগুলোর মর্ম বুঝতে পারি।’

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বলেন, ‘আমি রায়ে সন্তুষ্ট। আমরা আশা করব উচ্চ আদালতে রায়টি বহাল থাকবে এবং দ্রুত কার্যকর হবে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ এবং পাশাপাশি তাকে আহ্বান জানাব, রায় কার্যকরের ব্যাপারে তিনি যেন প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।’ নিহত মনিরুজ্জামান স্বপনের ভাই মিজানুর রহমান রিপন ও তাজুলের বাবা আবুল খায়ের বলেন, ‘আমরা সন্দিহান ছিলাম এ বিচার পাব কিনা। তবে রায়ে নয়, ফাঁসি কার্যকর হলেই চূড়ান্ত সন্তুষ্ট হব। অপেক্ষায় আছি ওদের ফাঁসিতে ঝুলে মৃত্যু হবে।’

নিহত অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারের গাড়িচালক নিহত ইব্রাহিমের স্ত্রী নূরজাহান বেগম বলেন, ‘স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে বেশির ভাগ দিনই তিন বেলা খাইনি। বাধ্য হয়ে আমার দুই সন্তানকে এতিমখানায় দিয়ে দিছি। অন্তত তাদের খাওয়াটা নিশ্চিত হোক।’ ইব্রাহিমের বড় ছেলে রনি বলেন, ‘অভাবের তাড়নায় ছোট ভাইবোনদের সোনারগাঁ থানা এলাকার বারদীর গ্রামের একটি এতিমখানায় ভর্তি করিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাবা বেঁচে থাকতে তিনিই ছিলেন আমাদের একমাত্র অবলম্বন। তিনি চাকরি করে যা পেতেন তা দিয়েই সংসার চলত।’ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ইব্রাহিমের প্রথম পক্ষের স্ত্রী মাহমুদা চোখ মুছতে মুছতে বলেন, ‘আমার স্বামীরে যারা খুন করছে, তাগো সবার ফাঁসির রায় হওয়ায় আমি সন্তুষ্ট। বিশেষ করে র‌্যাবের কর্মকর্তাগো ফাঁসির আদেশ দেওয়ায় আমি সবচাইতে বেশি খুশি হইছি। এহন শুধু রায় কার্যকরের অপেক্ষায় আছি।’

আসামির আইনজীবীর কথা : রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামি নূর হোসেনের বরাত দিয়ে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট খোকন সাহা বলেন, ‘রায় ঘোষণার পর নূর হোসেন জানিয়েছেন, তিনি হাই কোর্টে আপিল করবেন। তিনি ন্যায়বিচার পাননি। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন, মিথ্যাভাবে তাকে জড়ানো হয়েছে। তিনি হাই কোর্টে আপিল করে ন্যায়বিচার পাবেন।’ আসামি মেজর আরিফের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুর রশীদ বলেন, ‘আমাদের কী করার আছে। আমাদের কাজ হচ্ছে আসামিদের আইনি সহায়তা দেওয়া। তা দিয়েছি। আদালত যা মনে করেছে, সে অনুসারে রায় দিয়েছে। এ নিয়ে আমাদের বলার কিছু নেই। আসামিরা এখন যদি মনে করেন, তাহলে আপিল করবেন। তবে আমাদের মক্কেলরা সংক্ষুব্ধ রায় নিয়ে।’ আসামি তারেক সাঈদের আইনজীবী সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট সুলতানুজ্জামান বলেন, ‘আমার মক্কেল উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। রায়ে তিনি সন্তুষ্ট নন। তিনি চাইলে আমি আপিল করব।’ র‌্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক তারেক মুহাম্মদ সাঈদের বাবা লে. কর্নেল হাবিবুর রহমান (অব.) গতকাল রায় শেষে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমার ছেলে দোষী নয়। সে নির্দেশ পালন করেছে। উচ্চ আদালতে এ নিয়ে আপিল করব।’

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী : রায় নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন বলেন, ‘অন্তত নির্ভুল ও গ্রহণযোগ্য একটি রায় ঘোষণা করা হয়েছে। উচ্চ আদালতেও এ রায় বহাল থাকবে বলে আমার প্রত্যাশা।’ সন্তোষ প্রকাশ করে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানান। বলেন, ‘এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পেয়েছি।’ তিনি অবিলম্বে রায় কার্যকরের আহ্বান জানান।

আনন্দ মিছিল : সাত খুন মামলার রায় দ্রুত কার্যকরের দাবিতে মিছিল করেছেন নারায়ণগঞ্জ বার সমিতির আইনজীবীরা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রশ্ন রেখে বলেছেন, প্রতিষ্ঠান হিসেবে র‌্যাব কেন এ দায় নেবে? র‌্যাবের কিছু বিপথগামী সদস্য এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সাত খুনের ঘটনা তদন্তে র‌্যাব সহযোগিতা করেছে। ফলে সঠিক বিচার সম্ভব হয়েছে। এ রায়ের মধ্য দিয়ে র‌্যাব আরও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কেউ যে আইনের বাইরে নন, তাও প্রমাণিত হয়েছে।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জন্য এটি একটি কঠিন বার্তা। এসব বাহিনীর কোনো সদস্য যদি অপরাধ করতে চান, তাহলে এ রায়ের পর তিনি একটি দৃষ্টান্ত পাবেন যে, অপরাধ করে পার পাওয়া যাবে না। অপরাধ যে-ই করুক না কেন, কেউ রক্ষা পাবে না। নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার রায়ে তা নিশ্চিত হয়েছে। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলেই আইনের ফাঁক-ফোকর থাকলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও এ মামলা থেকে রেহায় পাননি।

গতকাল সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের মামলার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মামলায় টাকা লেনদেন হলেও হতে পারে। কিন্তু তা রায়কে প্রভাবিত করতে পারেনি। যারা পালিয়ে আছেন, তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। ধরা পড়লেই সাজা কার্যকর হবে। নারায়ণগঞ্জে সাত খুন মামলার রায়ের মধ্য দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি প্রমাণিত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের সামনে থেকে সাতজনকে অপহরণ করা হয়। এর তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে উদ্ধার করা হয় তাদের লাশ।

অ্যাটর্নি জেনারেল : নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার রায়ে সমগ্র জাতি স্বস্তি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে ভুক্তভোগীরা প্রত্যাশিত রায় পেয়েছেন। গতকাল সাত খুন মামলার রায়ে ২৬ জনকে ফাঁসি ও ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন। রায়ের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে নিজ কার্যালয়ে মাহবুবে আলম এ কথা বলেন। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, জনগণ যে রায় প্রত্যাশা করেছিল তাই পেয়েছে। এ রায়ে প্রমাণিত হলো, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন। অপরাধ করলে শাস্তি পেতেই হবে। অনেকের শঙ্কা ছিল কেউ কেউ ছাড়া পেতে পারেন। তবে এ মামলায় কেউ ছাড়া পাননি। তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতে, এটি এ দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মামলা, যেখানে ২৬ জনের ফাঁসির আদেশ হলো।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হাই কোর্টের অনুমোদন ছাড়া নিম্ন আদালতের দেওয়া ফাঁসির রায় কার্যকর হয় না। বিচারিক আদালতের রায় নথিসহ হাই কোর্টে আসবে। এ মামলার শুনানি দ্রুত শুরুর চেষ্টা করা হবে।

ওবায়দুল কাদের : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ সরকারের আমলে যে ন্যায়বিচার হয়, নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার রায়ে তা প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন। অপরাধ করে কেউ পার পাবে না, সে যত প্রভাবশালীই হোক।

গতকাল রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে জাতীয় চিত্রশালায় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা পরিষদ আয়োজিত বিএনপি-জামায়াতের বর্বরোচিত তাণ্ডব ও অগ্নিসন্ত্রাসের খণ্ডচিত্র প্রদর্শনী শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে এবং উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলামের পরিচালনায় এতে বক্তব্য দেন বিএফইউজে একাংশের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ। উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সুজিত রায় নন্দী, বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ৫ জানুয়ারি নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতার শিকার মাইসা খাতুনের মা মারুফা বেগম, নায়েক দুদু মিয়া, পিয়ারুল ইসলাম, পটল মিয়া, রেজাউল করিম, মিষ্টি মিয়া ও অমলচন্দ্র রায় সহিংসতার বর্ণনা দেন। সাত খুন মামলার রায় প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি মনে করি আপিলে নিম্ন আদালতের রায় উচ্চ আদালতে বহাল থাকবে।’ নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান সব সমস্যার সমাধান। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যারা দুই নেত্রীকে সংলাপে বসাতে চান, তাদের বলব, ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্ট কিংবা পুত্রশোকে শোকাহত মা খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফিরে আসা, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান প্রত্যাখ্যান করার কথা স্মরণ করুন। সেদিন খালেদা জিয়া ঘরের দরজা বন্ধ করে সংলাপের দরজা বন্ধ করেছিলেন। এখন যে বিষয়ে সংলাপ তা নিয়ে তো রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ করেছে বিএনপি। তাহলে আবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কীসের সংলাপ। সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে আগামী নির্বাচন হবে। তিনি বলেন, ‘৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের প্রস্তাব খালেদা জিয়া কী অশ্রাব্য, নোংরা ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, তা আমরা ভুলে যাইনি।’ তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্রের জন্য মায়াকান্না করেন, তাদের কাছে প্রশ্ন— আগুনসন্ত্রাসে পঙ্গু মানুষের আহাজারি, আর্তনাদের জবাব দেবে কে? গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য মায়াকান্না করছেন,    নাকি গণতন্ত্র হত্যার জন্য?

আ স ম রব : সাত খুন মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। দলটির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন আশা প্রকাশ করেছেন, উচ্চতর আদালতেও এ রায় বহাল থাকবে। একই সঙ্গে রায় যথাযথভাবে কার্যকর হবে। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, এ ধরনের নারকীয় ঘটনার পরিকল্পনাকারী ও অর্থ সরবরাহকারীদের বিচার প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হলে এ রায় শুধু পূর্ণতাই পেত না, গোটা জাতির জন্য একটা উদাহরণ হয়ে থাকত।

সর্বশেষ খবর