মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

তিন ভাইসহ এমপি রানা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্যকর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহম্মেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাইকে জেলা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

গতকাল দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তাদের প্রাথমিক সদস্য পদ বাতিল করা হয়। বহিষ্কৃৃত অপর তিন ভাই হলো— শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র শহিদুর রহমান খান মুক্তি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা এবং টাঙ্গাইল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আওয়ামী লীগের সদস্য জাহিদুর রহমান খান কাকন। তাদেরকে বহিষ্কারের পর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শহরে আনন্দ মিছিল করেছে।  গতকাল দুপুরে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুকের সভাপতিত্বে জরুরি সভা হয়। সভায় মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মেদ হত্যা এবং ঘাটাইলের ছাত্রলীগ নেতা আবু সাঈদ রুবেলকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার ওপর সম্প্রতি বর্বরোচিত হামলাসহ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয় বলে জানান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের। তিনি জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সভায় এমপি রানাসহ চার ভাইয়ের প্রাথমিক সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্যে বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান স্মৃতি জানিয়েছেন, কেউ দলের প্রাথমিক সদস্য পদ হারানোর পর তার আর সংসদ সদস্য পদ থাকে না। টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাইকে দল থেকে বহিষ্কার করায় ফারুক আহম্মেদের স্ত্রী নাহার আহম্মেদ স্বস্তি প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি স্বামীর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।  ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি, মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহম্মেদকে হত্যা করে শহরের কলেজ পাড়ায় তার বাসার সামনে ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাহার আহম্মেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দীর্ঘদিন তদন্তের পর সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাসহ চার ভাইয়ের নাম উঠে আসে। পরে এমপি রানাকে প্রধান আসামি করা হয়। এ ছাড়াও তার তিন ভাইসহ ১৪জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এ মামলায় এমপি রানা এখন জেলহাজতে রয়েছেন।

সর্বশেষ খবর