বুধবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

খোল নলচে পাল্টানো দরকার নির্বাচনী ব্যবস্থার

বাদল নূর

খোল নলচে পাল্টানো দরকার নির্বাচনী ব্যবস্থার

সাইফুল হক

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, নির্বাচনী ব্যবস্থার খোল নলচে পাল্টানো অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে। এটা ছাড়া জনগণের নিষ্কলুষ প্রতিনিধিত্ব গড়ে তোলা অসম্ভব। আগামী সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে তিনি কথা বলছিলেন। সাইফুল হক বলেন, বিদ্যমান নির্বাচনী ব্যবস্থা পুরোপুরি টাকার খেলায় পরিণত হয়েছে। এ ব্যবস্থার ওপর মানুষের কোনো আস্থা নেই। এখন নির্বাচনে বিজয়ের বড় নিয়ামক পেশিশক্তি, মাফিয়াতন্ত্র, সাম্প্র্রদায়িকতা ও প্রশাসনিক ছলচাতুরী। সৎ, সংগ্রামী ও আত্মনিবেদিত রাজনৈতিক নেতাদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ও বিজয়ী হওয়া অসম্ভব। তাই দেখা যায়, সংসদ থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকার পর্যন্ত প্রায় সব ক্ষেত্রে ব্যবসায়ী, কালো টাকার মালিক ও বিত্তবানদের নিরঙ্কুশ আধিপত্য। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনগণ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো আরেকটি একতরফা নির্বাচন মেনে নেবে না। এ ধরনের নির্বাচনের চেষ্টা হলে তা গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ বিপজ্জনক পর্যায়ে নিয়ে যাবে। তাতে বর্তমান সরকারের সব অর্জন ম্লান হয়ে যেতে পারে। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে, এ আশাবাদ ব্যক্ত করে সাইফুল হক বলেন, ফেব্রুয়ারিতে যে নতুন নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে তাদের অধীনেই আগামী সংসদ নির্বাচন হবে। গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় এই কমিশনের ভূমিকা হবে খুবই তাত্পর্যপূর্ণ। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যে সংলাপ করছেন তা অবশ্যই ইতিবাচক। দলগুলোর মতামত ও পরামর্শ বিবেচনায় নিয়ে যদি একটি শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়, তাহলে নির্বাচনকেন্দ্রিক সংকট নিরসন হতে পারে। আগামী সংসদ অধিবেশনেই এ-সংক্রান্ত আইন করা প্রয়োজন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দল ও জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে সার্চ কমিটি গঠন করা। তিনি বলেন, আমরা তিনজন পুরুষ ও দুজন মহিলা নিয়ে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব করছি। এ ছাড়া প্রত্যক্ষ ভোটের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে প্রতিনিধিত্ব নির্বাচনের প্রস্তাব করছি। সাইফুল হক বলেন, সরকারের বাইরে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোরও নির্বাচনকালীন সরকারকে সহায়তা করা উচিত। একই সঙ্গে জনগণের আস্থা অর্জন করতে আগামী নির্বাচনে তাদের অংশ নেওয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা দরকার। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে সরকার চাইলে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়।

সর্বশেষ খবর