বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

ব্রিটিশ নম্বরযুক্ত বিএমডব্লিউ জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্রিটিশ নম্বরযুক্ত  বিএমডব্লিউ জব্দ

রাজধানীর বনানী থেকে ব্রিটিশ নম্বরযুক্ত একটি বিএমডব্লিউ এক্স-৫ গাড়ি জব্দ করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। মঙ্গলবার রাতে বনানীর ২৫/এ নম্বর রোডে ৪৬ নম্বর ‘আকাশপ্রদীপ’ বাড়ির বেসমেন্টে গাড়িটি পাওয়া যায়। এর বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা। কাস্টমস গোয়েন্দারা বলছেন, বিলাসবহুল গাড়িটিতে ‘অদ্ভুত নম্বর প্লেট’ ব্যবহার করা হচ্ছে— এমন অভিযোগ পাওয়ার পর ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। কালো রঙের ওই গাড়িতে সাদা প্লেটে ব্রিটিশ নম্বর ‘DHAKA YF 05 PVT’ বসিয়ে ঢাকায় চালানো হচ্ছিল। কাস্টমস গোয়েন্দার মহাপরিচালক ড. মইনুল খান জানান, ফ্রেইট ফরোয়ার্ডিং ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মুহসিন আলম ২০১১ সালে কারনেট সুবিধায় গাড়িটি আমদানি করেন। সে সময় কাগজপত্রে বলা হয়েছিল, এর মূল মালিক যুক্তরাজে?্যর বাসিন্দা। মুহসিন আলমের বিরুদ্ধে কারনেট সুবিধার অপব্যবহারের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে পর্যটকদের বিশেষ সুবিধার সুযোগে (কারনেট ডি প্যাসেজ) তিন শর বেশি বিলাসবহুল গাড়ি বাংলাদেশে আসে। এর মধ্যে অর্ধেক ফেরত গেলেও বাকিগুলো রয়ে গেছে, যার অনুসন্ধানে নেমে মাঝেমধ্যেই বিলাসবহুল বিভিন্ন গাড়ির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক একটি সনদ অনুযায়ী যে সুবিধায় পর্যটকরা একটি দেশ থেকে অন্য দেশে শুল্ক না দিয়েই গাড়ি নিয়ে ঢুকতে পারেন, তাকেই ‘কারনেট ডি প্যাসেজ’ বলা হয়। তবে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এ সুবিধা পান পর্যটকরা। এর মধ্যে তাদের সংশ্লিষ্ট দেশের অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হতে হয়। নির্দিষ্ট সময় পর গাড়িটি ফেরত না গেলে সংশ্লিষ্ট দেশের নিয়ম অনুযায়ী এর ওপর শুল্কারোপ করা হয়। জানা গেছে, এ সুবিধা নিয়ে বিএমডব্লিউ, পোরশে, রেঞ্জ রোভার, রোলস রয়েসের মতো দামি গাড়ি বাংলাদেশে ঢোকে ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের মধে?্য। ২০১৩ সালের পর বাংলাদেশ এ সুবিধা বন্ধ করে দেয়। কারনেট ডি প্যাসেজ সুবিধা ছাড়াও মিস ডিক্লারেশন দিয়েও বিভিন্ন সময় বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

সর্বশেষ খবর