লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা হত্যাচেষ্টা মামলায় জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। লক্ষ্মীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হালিম উল্লাহ চৌধুরী গতকাল এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন— জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল, সম্পাদক রাকিব হোসেন লোটাস, সহ-সভাপতি কেএম বাপ্পি কবির, যুবলীগ নেতা এহতেশাম হায়দর বাপ্পি, ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল, সজিব, মিরাজ, তৃণমূল লীগ নেতা ওমর আল ফারুক মানিক, রকি ও রুপম। এর মধ্যে রাকিব হোসেন লোটাস, কেএম বাপ্পি কবির ও এহতেশাম হায়দর বাপ্পিকে পাঁচ বছর এবং জুয়েল, সজিব ও মিরাজকে এক বছর ও চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল, ওমর আল ফারুক মানিক, রকি ও রুপমকে এক মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে ছাত্রলীগ নেতা ইমন ও মাসুদকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এক মাসের দণ্ডপ্রাপ্ত ছাত্রলীগ সভাপতি সোহেলসহ অপর তিনজনের আপিল আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন একই আদালত। অন্য আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রায়ের প্রতিবাদে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। আদালত চত্বরে পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছিল বাড়তি নিরাপত্তা। মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাতে লক্ষ্মীপুর শহরের আলিয়া মাদ্রাসা এলাকায় জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলমকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। ঘটনার পরদিন আহতের বাবা অ্যাডভোকেট বদরুল আলম হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।
