বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

দলীয় আনুগত্যের ইসি মানা হবে না : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

দলীয় আনুগত্যের ইসি মানা হবে না : ফখরুল

নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে রাষ্ট্রপতি আন্তরিকতার পরিচয় দেবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে বিএনপি। দলের নেতারা বলেছেন, কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের মতো ‘দলীয় আনুগত্যের’ ইসি গঠিত হলে মানবে না বিএনপি। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় ‘সহায়ক সরকার’ গঠনের দাবি তুলে বিএনপি নেতারা বলেন, দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন হলে ইসি নিরপেক্ষ হলেও প্রতিষ্ঠানটি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না। গতকাল বিকালে রাজধানীর গুলিস্তানে কাজী বশির মিলনায়তনের মহানগর নাট্যমঞ্চে এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতারা এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে বিএনপি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমদ (অব.), সেলিমা রহমান, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আলোচনা চাই সংলাপ চাই। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে দেশে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি হোক। কাজী রকিবউদ্দীনের মতো দলীয় আনুগত্যের ইসি গঠিত হলে মানা হবে না।

দুর্ভাগ্য, আমাদের প্রধানমন্ত্রী আলোচনার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন। জানি না রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সরকারের সম্পর্কের কোনো অবনতি হয়েছে কিনা। তবে বলতে চাই, রাষ্ট্রপতি যদি সত্যিকার অর্থেই আন্তরিকভাবে ডেকে থাকেন তাহলে তিনি সত্যি কথা বলেছেন যে, এ দেশের মানুষ সংলাপের মাধ্যমেই সংকটের নিরসন দেখতে চায়। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। জনগণের শাসন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।’

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রস্তাব অনুযায়ী নিরপেক্ষ ইসি গঠন করে নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে। তা না হলে সৃষ্ট রাজনৈতিক সংকটের সমাধান হবে না। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগের অধীন নিরপেক্ষ ইসি হলেও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না। কারণ ’৭৩ সালের নির্বাচন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত দলীয় সরকারের অধীন কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। ইসি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেনি। কিন্তু সহায়ক বা নির্দলীয় সরকারের অধীন সব নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। সেজন্য দলীয় সরকারকে রেখে ইসিকে শতভাগ শক্তিশালী করা হলেও কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না। মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নতুন কমিটি হচ্ছে। নতুন করে সংগঠন গুছিয়ে আরেকবার আন্দোলন করে এ সরকারকে পরাজিত করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। নজরুল ইসলাম খান বলেন, সার্চ কমিটিতে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে, তারা শুধু আওয়ামী লীগারই নন, আওয়ামী লীগের চামচা। এদের নির্বাচন কমিশন গঠনের দায়িত্ব দিলে বুঝতে হবে সরকার আবার রকিবউদ্দীনের মতো কমিশন করে প্রহসনের নির্বাচন করতে চাইছে।

সর্বশেষ খবর