ফুটপাথে মোটরসাইকেল নিয়ে উঠলে ধরে পুলিশে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক। তিনি বলেন, মোটরসাইকেল নিয়ে অনেকে বীরদর্পে ফুটপাথে উঠে যান। অনেক প্রাইভেট কার ফুটপাথে চাকা তুলে দেয়। এমন দেখলেও পুলিশে দিন। গতকাল রাজধানীর বিএফ শাহীন কলেজে গ্রিন ঢাকা ক্যাম্পেইন  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আরএফএল গ্রুপের সহযোগিতায় আয়োজন করে ‘সবুজ ঢাকা’। বিএফ শাহীন কলেজের অধ্যক্ষ গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আরএফএল গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আর এন পাল, আমরা নেটওয়ার্ক লিমিটেডের হেড অব মার্কেটিং মুহাম্মদ সোলাইমান, সবুজ ঢাকার উপদেষ্টা প্রীতি চক্রবর্তী, সবুজ ঢাকার চেয়ারম্যান রুপাই ইসলাম প্রমুখ। আনিসুল হক বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে উত্তরের ফুটপাথ এমনভাবে গড়া হবে যেন, অন্ধজনেও সহজে চলতে পারেন। নাগরিকরা সহযোগিতা করুন। তিনি বলেন, আমরা প্রতিশ্রুতি দেই বাসযোগ্য শহর গড়ে তোলার। কিন্তু ঢাকা উত্তরে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১ লাখ ২৮ হাজার লোক বাস করেন। আর ঢাকা মোট জিডিপির (গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট) ৩৫ শতাংশের জোগান দেয়। তার অর্থ ঢাকায় কাজ আছে। তাই প্রতিনিয়ত এ শহরে মানুষ আসছেন। দখল হচ্ছে ফুটপাথ। রাস্তায় বসছে হকার। আনিসুল হক বলেন, খুব কষ্ট লাগে যখন হকার উচ্ছেদ করি। কিন্তু একটি পরিচ্ছন্ন বাসযোগ্য শহর গড়তে, রাস্তা বড় করতে কষ্টের কাজটিই করতে হয়। তিনি আরও বলেন, ১০ জন সেরা ডাক্তার দিয়ে জরিপ করেছি। ঢাকার পরিবেশ এত দূষিত যে, ২৫ শতাংশ শিশু এবং ৫০ শতাংশ মানুষের ফুসফুস আক্রান্ত। তাই বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে। আপনারা সবাই বাড়িতেই গাছ লাগান। চারার জন্য চিন্তা করতে হবে না। শুধু ইচ্ছাটা করুন। চারা পৌঁছে যাবে। এ ক্ষেত্রেও সমস্যা আছে। উত্তরায় গাছ লাগাতে গিয়ে দেখি জায়গা নেই। ছয় হাজার গাছ লাগাতে হয়েছে বাড়িতে। তাই বাড়িতে হলেও গাছ লাগাতে হবে। অনুষ্ঠানে বিএফ শাহীন কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে চার হাজার গাছের চারা বিতরণ করেন মেয়র। সবুজ ঢাকা ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোট এক লাখ গাছের চারা বিতরণের লক্ষ্যে কাজ করছে।