রবিবার, ২২ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত

মন্ত্রিসভায় আলোচিত যত মুখ

প্রতিদিন ডেস্ক

মন্ত্রিসভায় আলোচিত যত মুখ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে সদ্য ক্ষমতা গ্রহণ করা ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্ত্রিসভা পূর্ণতা পেয়েছে। স্থান পেয়েছেন বিভিন্ন সময়ে আলোচিত ব্যক্তিরা। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে সিনেট অনুমোদনের পর এ পূর্ণতা পেল। তবে ১৫ সদস্যের ওই মন্ত্রিপরিষদে রয়েছে শ্বেতাঙ্গ ও পুরুষদের আধিক্য। কোনো লাতিন বংশোদ্ভূত ব্যক্তির ট্রাম্পের মন্ত্রিপরিষদে জায়গা হয়নি। আর দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনই স্বাস্থ্যনীতি ‘ওবামাকেয়ার’ বাতিল করে দিয়েছেন ট্রাম্প।

গত ৮ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে জয়লাভ করেন ট্রাম্প। স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুর ১২টায় ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণ করেন। ট্রাম্পের অভিষেকের দিনই বিকালে সিনেট ট্রাম্পের মনোনীত প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল (অব.) জেমস ম্যাটিস এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেনারেল (অব.) জন এফ কেলিকে অনুমোদন দিয়েছে। এই দুই সাবেক মেরিন সেনা কর্মকর্তাই সিনেটরদের কাছে পরিচিত। ইরাক ও আফগানিস্তানে মার্কিন  আগ্রাসনের সময় ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের দায়িত্বে ছিলেন ম্যাটিস। অপরদিকে, কেলি ছিলেন ইউএস সাউদার্ন কমান্ডের দায়িত্বে। তবে ট্রাম্পের মনোনয়ন পেলেও তারা দুজনই সিনেট শুনানিতে মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তোলা বা ন্যাটো থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসার মতো ‘বিতর্কিত’ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন।

এ দুজনের নিয়োগ নিশ্চিত হওয়ার পর এখন ট্রাম্পের মন্ত্রিপরিষদ যা দাঁড়িয়েছে, তা হলো— রেক্স টিলারসন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্টিভেন মুচিন অর্থমন্ত্রী, জেমস ম্যাটিস প্রতিরক্ষামন্ত্রী, জেফ সেশনস আইনমন্ত্রী, রায়ান জিনকে অভ্যন্তরীণমন্ত্রী, সনি পারড্যু কৃষিমন্ত্রী, উইলবার রস বাণিজ্যমন্ত্রী, অ্যান্ড্রু পুজদার শ্রমমন্ত্রী, টম প্রাইস (স্বাস্থ্যমন্ত্রী), বেন কারসন আবাসনমন্ত্রী, অ্যালাইন চাও পরিবহনমন্ত্রী, রিক প্যারি জ্বালানিমন্ত্রী, বেটসি ডিভোস শিক্ষামন্ত্রী, ডেভিড শুলকিন সেনাকল্যাণমন্ত্রী, জন এফ কেলি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই মন্ত্রিপরিষদে কোনো লাতিন বংশোদ্ভূত ব্যক্তিকে নেওয়া হয়নি। একমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ সদস্য বেন কারসন। আর দুই নারী মন্ত্রীর মধ্যে অ্যালাইন চাও চীনা বংশোদ্ভূত এবং বেটসি ডিভোস শ্বেতাঙ্গ। বাকি ১২ সদস্যের সবাই শ্বেতাঙ্গ ও পুরুষ। এ প্রসঙ্গে ট্রাম্পের মুখপাত্র শন স্পাইসার দাবি করেন, ত্বকের রঙ বা নারী-পুরুষ ভেবে এই মন্ত্রিপরিষদ গঠিত হয়নি। যোগ্যতা বিচারেই তারা মন্ত্রী হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মার্কিনিদের এসব না ভেবে কাকে দিয়ে কাজ হবে, সেদিকেই মনোযোগ দেওয়া উচিত।’ স্পাইসারের দাবি, ‘ট্রাম্প প্রশাসন জেন্ডার, চিন্তা ও মতাদর্শের বৈচিত্র্যকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরবে।’  ওয়াশিংটন পোস্ট।

সর্বশেষ খবর