রবিবার, ২২ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
নিউজটোয়েন্টিফোরের গোলটেবিল

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নে বাংলাদেশ ভারতকে আরও উদ্যোগী হতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

পারস্পরিক নির্ভরশীলতার বিশ্ব বাস্তবতায় বাংলাদেশের জন্য ভারতের অনেক কিছুই করার আছে। একইভাবে উপ-আঞ্চলিক সম্পর্কোন্নয়নে বাংলাদেশও ভারতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণেই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নে দুই দেশকে আরও বেশি উদ্যোগী হতে হবে।

গতকাল বসুন্ধরার ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের কনফারেন্স হলে নিউজটোয়েন্টিফোর আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে এমন অভিমত দেন বক্তারা।

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে কী ভাবছে আজকের তরুণ প্রজন্ম— এ নিয়েই ছিল নিউজটোয়েন্টিফোরের এই আয়োজন। এতে সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন নিউজটোয়েন্টিফোরের হেড অব কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স সামিয়া রহমান।

আলোচনায় অংশ নিয়ে তরুণরা বলেন, শিক্ষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস থেকে শুরু করে আর্থ-সামাজিক অনেক ক্ষেত্রই আছে যেখানে দুই দেশের সহযোগিতা আরও বাড়ানো যেতে পারে। তারা বলেন, সম্পর্কোন্নয়নে শুধু দুই দেশের সরকারই নয়, জনগণও উদ্যোগী। স্বাধীনতার পরই দুই দেশের জনগণের মধ্যে মৈত্রী গড়ে উঠেছে। তবে ভিসাপ্রাপ্তি, সুষম সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান, শিক্ষা ও গবেষণায় পারস্পরিক সহযোগিতার এখনো ঘাটতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তারা। গোলটেবিল আলোচনায় তরুণদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ূন কবীর ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমান। এ সময় হুমায়ূন কবীর বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। এ মৌলিক সম্পকের্র ওপর দাঁড়িয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে, যে কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের জন্য নিজেদের শক্ত অবস্থানই প্রথম শর্ত।’ তিনি বলেন, শুধু ভারতকে নিয়েই সব উন্নয়ন সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে সব দেশের সঙ্গেই সুসম্পর্ক রাখতে হবে। আর এ সম্পর্ক যাতে টেকসই হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। আলোচনায় অধ্যাপক তারেক শামসুর রেহমান বলেন, বর্তমান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে ভারতের অনেক সহযোগিতারই দরকার আছে বাংলাদেশের। বিশেষ করে শিল্পোন্নত ১১টি দেশের কাতারে যেতে হলে গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভারতের অনেক সহযোগিতাই বাংলাদেশকে নিতে হবে। তা ছাড়া উপ-আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে পারস্পরিক সহযোগিতার বিকল্প নেই। তিনি বলেন, শুধু তিস্তা চুক্তি নিয়ে বসে থাকলে চলবে না, বাংলাদেশকে বিকল্প আরও অনেক কিছু নিয়েই ভাবতে হবে। ‘ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কোন্নয়ন কেবল আলোচনার টেবিলেই থেমে গেলে চলবে না। এখানে সরকার ও জনগণের প্রত্যাশা কিংবা প্রাপ্তির সমন্বয় থাকতে হবে।

সর্বশেষ খবর