শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

টেস্টেও হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

আসিফ ইকবাল

টেস্টেও হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

মুষলধারায় ভেসে গেছে তৃতীয়দিনের খেলা। এক মিনিটের জন্যও কান্না থামায়নি ক্রাইস্টচার্চের আকাশ। আগের রাত থেকে সেই যে শুরু, তৃতীয়দিনের পুরোটা সময় শুধু ঝরছেই। তাতে খেলা হয়নি গোটা একটি দিন। তার ওপর শেষ হয়নি নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাই সন্দিহান ছিলেন অনেকেই। চতুর্থদিন খেলা হবে কিনা-এ নিয়েও চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল কপালে। খোঁজ খবর নিচ্ছিল আবহাওয়ার। ক্রাইস্টচার্চের আবহাওয়া অফিস অবশ্য স্বস্তি দেয় ক্রিকেটপ্রেমীদের। জানিয়ে দেয় চতুর্থ দিন বৃষ্টি হবে না। তবে আবহাওয়া থাকবে যথেষ্ট শীতল। এমন সিমিং কন্ডিশনে ম্যাচের ফল কি হবে- এ নিয়ে নানাজন নানান মত দিলেও বিন্দুমাত্র কেউ ভাবতে পারেনি চার দিনেই শেষ হয়ে যাবে টেস্ট। হয়েছেও। ওয়েলিংটনের পথ অনুসরণ করে ক্রাইস্টচার্চেও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যর্থ ব্যাটসম্যানরা। তাতেই একদিন আগে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে যায় বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে নিউজিল্যান্ড সফরে ওয়ানডে, টি-২০ ও টেস্ট মিলিয়ে ব্যবধান ৮-০। তিন নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম, ইমরুল কায়েস ও মুমিনুল হককে ছাড়া খেলতে নামে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো দলকে নেতৃত্ব দেন তামিম ইকবাল। নিজেকে ফিরে পেতে মরিয়া সৌম্য সরকারের দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিং ও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের দৃঢ়তায় প্রথম ইনিংসে ২৮৯ রান করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিন বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়া পর্যন্ত ২৬০ রানে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের ৭ উইকেট তুলে নিয়ে জমিয়ে রাখে ম্যাচ। তখন মনে হচ্ছিল, আর যাই হউক ওয়েলিংটন টেস্টের মতো হবে না। কিন্তু চতুর্থ দিন খেলতে নেমে হেনরি নিকোলস একাই দলকে টেনে নিয়ে যান ৩৫৪ পর্যন্ত। টেল এন্ডারদের নিয়ে যোগ করেন আরও ৯৪ রান। তখনই ম্যাচের রশিটা নিজেদের করে নেয় ব্ল্যাক ক্যাপসরা। নিকোলস নার্ভাস নাইনটিজের শিকার হয়ে মেহেদি হাসান মিরাজের বলে সাজঘরে ফিরেন ব্যক্তিগত ৯৮ রানে। সাকিব ৪ উইকেট নিয়ে ছিলেন সফল বোলার। ৬৫ রানে পিছিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেই ট্রেন্ট বুল্ট, টিম সাউদি ও ওয়াগনারদের সুইং, গতি ও বাউন্সে অসহায় পাল্লা দিয়ে সাজঘরে ফিরতে থাকেন টাইগার ব্যাটসম্যানরা। দলীয় ১৭ রানে অধিনায়ক তামিমের বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সৌম্য সরকার ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ একটু চেষ্টা করেছেন ইনিংসটিকে ভদ্রস্থ করতে। কিন্তু কোথায় কি? ১১৫ রানে পৌছাতেই খুঁইয়ে বসে ৮ উইকেট। এগিয়ে যায় মাত্র ৫০ রানে! হাতে তখন ২ উইকেট। স্কোর আর কত হবে? দুই পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি ও তাসকিন আহমেদ নবম উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৫১ রান। তাতেই টার্গেট দেওয়া সম্ভব হয় ১০৯ রানের। প্রথম ইনিংসের মতো সৌম্য দ্বিতীয় ইনিংসেও ভালো ব্যাটিং করে ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন। প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ৮৬ রান। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ করেন ৩৮ রান। ৩টি করে উইকেট নেন বুল্ট, সাউদি ও  ওয়াগনার। ১০৯ রানের টার্গেট নিউজিল্যান্ড পেরিয়ে যায় ওপেনার রাভালের উইকেট হারিয়ে। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে টানা অষ্টম জয় উপহার দেন গ্রান্ডহোম টানা ২ ছক্কায়। এই হারে ২০০১ সাল থেকে নিউজিল্যান্ডের মাটি অজেয়ই থাকল বাংলাদেশের কাছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর