দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দুর্নীতি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বপ্নকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী। আমাদের আশা আছে এবং স্বপ্নও আছে। দুর্নীতিকে প্রতিরোধ করে আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য দেশ গড়তে চাই। গতকাল দুদক প্রধান কার্যালয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির বিতার্কিকদের নিয়ে ‘দুর্নীতি প্রতিরোধে তরুণ প্রজন্মের করণীয়’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদক কমিশনার ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ, এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, সচিব আবু হেনা মো. মোস্তফা কামাল ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। কর্মশালায় প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি, ইবাইস ইউনিভার্সিটি, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও বিজিএমইএ ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-শিক্ষিকা অংশ নেন। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, বিতার্কিকরা যুক্তি ও প্রতিযুক্তির নান্দনিকতার মাধ্যমে সত্যকে উপস্থাপন করেন। তাই তরুণদের নিয়ে অনুুষ্ঠিত এ কর্মশালায় সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা বর্জন করা হয়েছে। তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিরা দুর্নীতি প্রতিরোধে যে সব সুপারিশ প্রণয়ন করবে কমিশন তা বাস্তবায়নে বিবেচনা করতে পারে। তবে এই সুপারিশমালা অবশ্যই সুনির্দিষ্ট, পরিমাপযোগ্য, বাস্তবায়নযোগ্য, প্রাসঙ্গিক হতে হবে। তিনি আরও বলেন, আজকের ছাত্ররা গ্রেড কিংবা জিপিএ-৫-এর দিকে ছুটছে। অনেক ক্ষেত্রেই তারা নিজ সক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা করছে না। তাই দেশে অনেক ক্ষেত্রে চাকরির জন্য যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যায় না। একজন সক্ষম তরুণের জন্য শুধু দেশে নয় বিদেশেও চাকরির দুয়ার খোলা রয়েছে। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের গ্রেড কিংবা জিপিএ-৫-এর পিছনে না ছুটে প্রকৃত জ্ঞান আরোহণের মাধ্যমে সক্ষমতা অর্জনের আহ্বান জানান। ইকবাল মাহমুদ বলেন, বর্তমান কমিশন কাউকে অযথা গ্রেফতার করতে চায় না। কিন্তু আইনি প্রক্রিয়ার কারণে গ্রেফতার করতে হচ্ছে। পাশাপাশি গ্রেফতারের কারণেই সমাজে দুর্নীতিবিরোধী সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি এখন অনেক অন্তর্ভুক্তিমূলক। এ ছাড়া অভাবের কারণে খুব বেশি দুর্নীতি হয় এমনটা নয়। বরং দুর্নীতি হচ্ছে অতিলোভের কারণে। কমিশন চায় সমাজের প্রতিটি স্তর থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা।
