বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন,  বাংলাদেশ ও ভারতে গতিশীল গণতন্ত্র রয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে দেশ দুটি প্রায় একই গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। গতকাল ঢাকার বারিধারায় ভারতের ৬৮তম প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত ঘনিষ্ঠ বন্ধু। উভয় দেশের সংবিধান একই ধরনের। উন্নয়ন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ধর্মনিরপেক্ষতাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ আছে। দুই দেশই অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি ও মানুষের বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। প্রজাতন্ত্র দিবসের আনুষ্ঠানিকতার সূচনা হয় ভারতের জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে। দিবসটি উপলক্ষে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির বাণী পাঠ করে শোনান হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। বাণী পাঠ শেষে শিশুরা দেশের বিভিন্ন গানের সঙ্গে নৃৃত্য পরিবেশন করে। তারপর ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্যান্ডদলের বিশেষ পরিবেশনা। এ সময় শ্রিংলা বলেন, ‘সমগ্র ভারতবাসীর জন্য আজকের দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৯৫০ সালের এদিনে ভারত প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। আমরা সংবিধান পাই এদিন। দিনটি একই সঙ্গে ভারতের মানুষের ধর্মীয়, ভাষাগত ও অন্যান্য বিশ্বাস এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে।’ তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। উভয় দেশের সুবিধাজনক সময়ে সফরের তারিখ ঠিক হলে নির্দিষ্ট সময়েই তা অনুষ্ঠিত হবে। শ্রিংলা বলেন, পারস্পরিক সম্মতিতে সুবিধাজনক সময়ে তারিখ নির্ধারণ করতে হবে। তারিখ ঠিক করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৫ সালের জুনে বাংলাদেশ সফর করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে গেছেন। সমঝোতার মাধ্যমে শিগগিরই এ সফরের দিকেই আমরা অগ্রসর হচ্ছি।’