শনিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

স্কুলটি পুড়িয়ে দিল সন্ত্রাসীরা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

স্কুলটি পুড়িয়ে দিল সন্ত্রাসীরা

গাইবান্ধায় কামারজানি ইউনিয়নে পুড়িয়ে দেওয়া স্কুল। শিক্ষার্থীদের কান্নায় গতকাল হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয় —বাংলাদেশ প্রতিদিন

গাইবান্ধা সদরের কামারজানি ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্র নদের কুন্দেরপাড়া চরে একটি বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত ‘গণ উন্নয়ন একাডেমি’ নামের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ, শিক্ষক মিলনায়তন ও লাইব্রেরিসহ ১০টি শ্রেণিকক্ষ দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। সেই সঙ্গে ২০ হাজার এসএসসি ও জেএসসি পাস শিক্ষার্থীর সনদপত্রসহ আসবাবপত্র, শিক্ষা সরঞ্জাম সব আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে। আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রগুলোও আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে। এতে প্রায় কোটি টাকার সম্পদ পুড়ে গেছে বলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের দাবি। গত বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে এবং গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত আগুনের ধোঁয়া দেখা গেছে। একাডেমির প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান জানান, গণউন্নয়ন কেন্দ্রের অর্থায়নে ২০০৩ সালে একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে একাডেমিতে ৫৭৩ শিক্ষার্থী আছে। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে হঠাৎ করে একাডেমিতে আগুন জ্বলে উঠতে দেখে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। তিনি অভিযোগ করেন, সম্প্রতি স্থানীয় কিছু লোকজন স্কুলের কার্যক্রমে বাধা দিয়ে আসছিল। তা ছাড়া একাডেমির পাশের এলাকায় ব্যাপকভাবে জুয়া, মদ, মাদক ও যাত্রার নামে নগ্ন নাচ গানের আসর চলে আসছে। এসব বন্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার এই স্কুলের মাঠে এক সুধী সমাবেশ হয়। এসব কারণে দুর্বৃত্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে স্কুল আগুন দিয়ে পুুড়িয়ে দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক আরও জানান, আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এসে কান্নায় ভেঙে পড়ে। কামারজানি ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম জানান, একাডেমি হাইস্কুলটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়ে আসছিল। নারী শিক্ষা ও আবাসিক সুবিধা থাকায় চরাঞ্চলের শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে হাইস্কুলটি। কিন্তু কে বা কারা শত্রুতা করে আগুন দেয়। সদর থানার ওসি একেএম মেহেদী হাসান জানান, পুড়ে যাওয়া স্কুল পরিদর্শন করা হয়েছে। ঘটনাটি নাশকতা কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শামসুল আজম (সার্বিক) জানান, শনিবার থেকেই যেন এই বিদ্যালয়ে ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করতে পারে সে ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে যোগাযোগ করে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য নতুন করে প্রবেশপত্র ইসু্যুর ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ খবর