সোমবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

বড় দরপতন পুঁজিবাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুনের) মুদ্রানীতি ঘোষণার পর পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসই ব্রড ইনডেক্স (ডিএসইএক্স) কমেছে ২ শতাংশেরও বেশি। লেনদেনের শুরুতে ডিএসইএক্স ছিল ৫ হাজার ৬১৮ পয়েন্ট। দিনশেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে সাড়ে পাঁচ হাজার পয়েন্টে। অর্থাৎ এক দিনেই ডিএসইর সূচক পতন হয়েছে ১১৭.৭৯ পয়েন্ট। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ২৫২ পয়েন্ট। দিনের শুরুতে মূল্য সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। সাড়ে ১১টায় নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণার পর থেকেই পাল্টে যায় বাজারের দৃশ্যপট। একের পর এক কোম্পানির দর কমতে থাকে। সময়ের সঙ্গে যেন পাল্লা দিয়ে বাজারে দর পতন ঘটে। মু্দ্রানীতিতে পরিবর্তন না হলেও বাংলাদেশে ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবীর শেয়ারবাজার পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্যের জেরে বাজারে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। জানতে চাইলে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এবং এএএ ফাইন্যান্স অ?্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এ হাফিজ উদ্দিন বলেন, মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় গভর্নর বাজারে নজরদারি বাড়ানোর যে কথা বলেছেন, তাতে প?্যানিক সৃষ্টি হয়ে দরপতন ঘটেছে। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বিষয়টিকে ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন। বাজার পর্যালোচনায় দেখা য়ায়, ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ২৭৫টিরই দরপতন হয়েছে। অপরদিকে ৪৭টির দাম বেড়েছে এবং ৫টি কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৩৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা। যা আগের কার্যদিবসের তুলনায় ১৩২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা কম। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬৮ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। লেনদেন হওয়া ২৬৩টি ইস্যুর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪২টির, কমেছে ২১৭টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪টির দর।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর