সোমবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

টিআইবির তথ্য বিশ্বাস করি না

নিজস্ব প্রতিবেদক

টিআইবির তথ্য বিশ্বাস করি না

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, টিআইবি কয়েক দিন আগে যে জরিপের তথ্য দিয়েছে তার সঙ্গে আমি একমত নই। তিনি গতকাল রাজধানীর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত মাদক ও দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃৃতায় একথা বলেন। সেমিনারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল মাদককে না বলুন। দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, মাদক ও দুর্নীতির কারণে দেশের উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ কারণে মাদক উৎপাদক, সরবরাহকারী ও দুর্নীতিবাজদের প্রতিরোধ করতে হবে। আমাদের উচিত দুর্নীতি প্রতিরোধে ছাত্র ও সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করা। আমরা এ বিষয়ে ছাত্রদের নেতৃত্বে আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমাদের মনে রাখতে হবে, বিবেক হল আমাদের শ্রেষ্ঠ আমানত। তাই ছাত্র ও তরুণদের এ আমানতকে রক্ষার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। প্রয়োজনে আরও শক্তিশালী করতে হবে মাদক বিরোধী চলমান অভিযানকে। সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর আতিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। আরও বক্তব্য রাখেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ ও মানস চেয়ারম্যান ডা. অরূপ রতন চৌধুরী। ইকবাল মাহমুদ বলেন, ইতিমধ্যে নানা ধরনের গঠনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে দুদক স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ রাষ্ট্রীয় সংস্থার পরিচিতি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১২ জানুয়ারি জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে দুদকের নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতার কথা উল্লেখ করেছেন। আমরা বর্তমানে আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার করে আসামিদের আইনের আত্ততায় আনার কাজ শুরু করছি। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতির কারণে দেশের এসডিজি অর্জনে সরকারকে পিছিয়ে পড়তে হয়। কেননা ২ থেকে ৩ শতাংশ দুর্নীতির কারণে জিডিপি চলে যায়। রাজধানীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বাণিজ্য বিষয়ে নজরদারি করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বাণিজ্য হচ্ছে বলে দুদকের কাছে অভিযোগ রয়েছে। আশা করছি অল্প কয়েক দিনের মধ্যে কিছুটা অগ্রগতি দেখতে পাবেন। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান বলেন, আমরা মাদকের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছি। পাশাপাশি চলছে মাদক ও ইয়াবা উদ্ধারের অভিযান। এছাড়া সরকারকে বিজিবি ও কোষ্টগার্ডকে সম্পৃক্ত করার দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছি। আমাদের মনে রাখতে হবে, দেশের ৩০ ভাগ মামলা হয় মাদক সংক্রান্ত। এছাড়া সারা দেশের জেলা কারাগারগুলোতে যে বন্দী রয়েছে এর মধ্যে ৩৩ ভাগ মাদক মামলার আসামি।

সর্বশেষ খবর