শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
মুসলিমদের ওপর নিষেধাজ্ঞা

গণমাধ্যম ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে, বললেন ট্রাম্প

প্রতিদিন ডেস্ক

মুসলিমদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির পর নিজের পক্ষে সাফাই গাইলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার মন্তব্য, ‘পরিষ্কার করে বলছি, এটা মুসলিমদের ওপর নিষেধাজ্ঞা নয়। গণমাধ্যম মিথ্যা খবর প্রচার করছে।’

তিনি আরও বলেন, একটি নিরাপদ নীতি গ্রহণ করে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সব দেশের নাগরিকদের ভিসা দেওয়া হবে। এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ‘এটা ধর্মসংক্রান্ত বিষয় নয়, বরং সন্ত্রাস প্রতিরোধ এবং আমাদের দেশকে নিরাপদ রাখার জন্য করা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে মুসলিম অধ্যুষিত আরও ৪০টির বেশি দেশ রয়েছে যাদের ?ওপর এই আদেশের প্রভাব পড়েনি।’ ‘একস্ট্রিম ভেটিং  মেজার্স’ এর কথা বলে গত শুক্রবার ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে মুসলিম অধ্যুষিত সাত দেশ ইরাক, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেনের নাগরিকদের ওপর ৯০ দিনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। সেই সঙ্গে আগামী চার মাস আর কোনো শরণার্থী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ পাবে না। সিরীয় শরণার্থীদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত। দ্বৈত-নাগরিক এবং গ্রিনকার্ড হোল্ডাররাও (যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে বসবাসের অনুমতি) এই আদেশের আওতায় বলে জানিয়েছে দেশটির হোমল?্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট। ট্রাম্পের ওই আদেশের পর বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।

ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসন অনড় : সাতটি মুসলিম প্রধান দেশের অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটির ডালাস বিমানবন্দরসহ পুরো দেশেই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ চলছে। বিশেষ করে বিমানবন্দরগুলোতে যেখানে আটকা পড়েছেন বহু মুসলিম, যারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে চায়। হোয়াইট হাউসের সামনেও বিক্ষোভ হয়েছে। একজন বিক্ষোভকারী ট্রাম্পের অভিশংসন দাবি করে বলেছেন, তার অভিশংসন হওয়া উচিত। আমাদের এই বৈষম্য বন্ধ করা উচিত। আমরা এভাবে সামনে এগোচ্ছি না, আমরা আসলে পিছিয়েই পড়ছি। দেশটি কিসে পরিণত হচ্ছে? এসব বন্ধ হওয়া দরকার। কিন্তু অবস্থানে অনড় রয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। নির্দিষ্ট সময়ের আগে এটি বাতিল করা হবে না বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে।

সিরিয়া-ইয়েমেনে নিরাপদ অঞ্চল তৈরিতে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি : সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া ও ইয়েমেনে নিরাপদ অঞ্চল নির্মাণে সহায়তা করতে সম্মত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রবিবার টেলিফোনে বাদশাহ সালমানের সঙ্গে কথা বলেন। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা ওই  ফোনালাপের পর হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে উভয় নেতার মধ্যে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করার পাশাপাশি সিরিয়া ও ইয়েমেন নিয়ে আলাপ হয়েছে বলে জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্টের অনুরোধে বাদশাহ সালমান সিরিয়া ও ইয়েমেনে নিরাপদ অঞ্চল নির্মাণে সহায়তা করতে রাজি হয়েছেন। যুদ্ধের কারণে গৃহহীন হয়ে পড়া ওই দুই  দেশের শরণার্থীদের সাহায্যে যুক্তরাষ্ট্রের আরও বেশ কিছু পরিকল্পনারও সমর্থন দিয়েছে সৌদি আরব।’ তবে সৌদি প্রেস এজেন্সিতে (এসপিএ) তাত্ক্ষণিকভাবে নিরাপদ অঞ্চল তৈরিতে সহায়তার বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। সেখানে বলা হয়, দুই নেতা উভয় দেশের মধ্যে ‘কৌশলগত সম্পর্ক আরও গভীর ও স্থায়ী করার’ বিষয়ে পরস্পরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

আইএস দমনে প্রস্তুতি : জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পেন্টাগনকে প্রস্তুতি নিতে বলেছেন ট্রাম্প। এ জন্য একটি নয়া নির্দেশে গতকাল সই করেছেন ট্রাম্প। তাতে মার্কিন সেনাকে বলা হয়েছে, কীভাবে আইএসকে পরাস্ত করা যায়, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তা নিয়ে একটি সুসংহত রণকৌশল তৈরি করতে। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে প্রেসিডেন্টের কাছে সেটি জমা দিতে হবে। এএফপি, বিবিসি, গার্ডিয়ান

সর্বশেষ খবর