বসুন্ধরা বাংলাদেশ ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে আরও ভালো করেছেন সিদ্দিকুর রহমান। পঞ্চম স্থান থেকে গতকাল তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছেন দেশসেরা গলফার। বাংলাদেশের আগের গলফার দুলাল হোসেন ২২তম থেকে উঠে এসেছেন ১২তম স্থানে। আজ শেষ রাউন্ডে দুলালের সামনে শিরোপার স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেলেও আশা জাগিয়ে রেখেছেন সিদ্দিকুর। গতকাল পারের চেয়ে তিন শট কম খেলেছেন তিনি। সব মিলে ৮ আন্ডার
পার খেলে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। তবে গতকাল শুরুটা ভালো করতে পারেননি সিদ্দিকুর। প্রথম দুই হোলেই বগি খেয়ে যান। তবে এরপরেই নিজেকে ফিরে পান দেশসেরা গলফার। সব মিলে গতকাল ছয়টি বার্ডি পেয়েছেন। তবে তিনটি বগিও খেতে হয়েছে। আর একটু সতর্ক হলে দিন শেষে লিডারবোর্ডে দ্বিতীয় স্থানে দেখা যেত সিদ্দিকুরকে। তারপরেও নিজের খেলায় সন্তুষ্ট তিনি। সিদ্দিকুর বলেন, ‘এখনো আশা আছে। দেখা যাক কি হয়। তবে আমি শেষ রাউন্ডে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’ পারের চেয়ে ১৩ আন্ডার পার থেকে শীর্ষে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছেন
থাইল্যান্ডের গলফার জাজ জানেওয়াতানন্দ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ভারতের শুভঙ্কর শর্মা। পারের চেয়ে ৯ শট কম খেলেছেন তিনি। শীর্ষে থাকা জাজের সঙ্গে সিদ্দিকুরের পার্থক্য ৫ আন্ডার পার। তবে এই কুর্মিটোলা গলফ কোর্সে একদিনে ৭-৮ আন্ডার পার খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে দেশসেরা গলফারের। অন্যদিকে প্রথম দিন থেকেই শীর্ষে থাকা জাজ যদি খারাপ করেন তবে দেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো এশিয়ান ট্যুরের শিরোপা জিতেও জেতে পারেন সিদ্দিকুর। গতকাল দুলাল হোসেনও তিন আন্ডার পার খেলেছেন। সব মিলে চার আন্ডার পার খেলে এগিয়েছেন তিনি। এখন পাঁচে থাকাই তার লক্ষ্য। বাংলাদেশের আরেক সেরা গলফার জামাল হোসেন মোল্লা পারের সমান শট খেলে ৩১তম থেকে ২৮তম স্থানে উঠে এসেছেন। সজীব আলী পারের চেয়ে এক শট বেশি খেলে আগের দিনের মতোই ৩১তম স্থানে রয়েছেন। এ ছাড়া বাংলাদেশের অন্য গলফারদের মধ্যে তৃতীয় রাউন্ড শেষে রবিন মিয়া ৪৭তম, বাদল হোসেন ৫৬তম, মোহাম্মদ নাজিম ৫৬তম, আকবর হোসেন ৬৭তম, মোহাম্মদ জিয়া ৬৮তম এবং ৭৩তম স্থানে রয়েছেন সম্রাট শিকদার।