শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

পুলিশ একাডেমিতে শ্রিংলাকে নিয়ে রিজভীর প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশ একাডেমিতে শ্রিংলাকে নিয়ে রিজভীর প্রশ্ন

আওয়ামী লীগ দেশকে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী বলেন, ‘কোথাও ট্রানজিটের নামে করিডর দিয়ে, কোথাও মালামাল পরিবহনের নামে নৌ ও সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে স্থলপথ, নৌপথ এমনকি আকাশপথকে তারা অবাধে ব্যবহার করলেও বিনিময়ে কিছুই পাচ্ছি না।’ রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গতকাল সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, এম এ মালেক, আসাদুল করিম শাহীন, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন প্রমুখ। রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে প্রতিবেশী একটি দেশের কূটনীতিকের পরিদর্শন—রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। এটা কীসের আলামত। দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করছেন বর্তমান সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কাছাকাছি একটি দেশের কূটনীতিকরা। সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য পরনির্ভরশীলতার কারণেই প্রভুদের কাছে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা উন্মুক্ত করে দিচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিদেশি কূটনীতিকের পরিদর্শন কি অজানা চুক্তির বহিঃপ্রকাশ? রিজভী বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে মনে হচ্ছে আমাদের সব সরকারি প্রতিষ্ঠানকে পাশের দেশের এক্সটেনশনে পরিণত করার উদ্যোগ চলছে। কেবল তাই নয়, প্রতিবেশী দেশকে খুশি করার জন্য নানা উপহারে ভূষিত করা হচ্ছে। তবে এর বিনিময়ে বাংলাদেশের প্রাপ্তি হচ্ছে লবডঙ্কা। শুধু তাই নয়, মংলা-ঘষিয়াখালী নৌ-রুট দিয়ে ভারত যাতে সহজে পণ্য আনা-নেওয়া করতে পারে সেজন্য সরকার ৭০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।’ আপনি পাশের দেশ ভারতকে ইঙ্গিত করেই কথাটা বলেছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সফর নিয়ে। কিন্তু আগেও আমরা দেখেছি, সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা বাংলাদেশের ৬৩টি জেলা ভ্রমণ করেছেন, তখন আপনি এ ধরনের কথা বলেননি— জবাবে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, দেখুন সেটা তার ব্যক্তিগত সফর। আর অন্যান্য দেশও যদি হতো, সেটার একটা কথা ছিল। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান পুলিশ একাডেমি বা অন্য জায়গাগুলোয় যদি একটি বিশেষ দেশের কূটনীতিকরা বার বার যেতে থাকেন, তাহলে প্রশ্ন দেখা দিতেই পারে। আমি সেই প্রশ্নের কথা এখানে বলেছি।’ তিনি বলেন, একতরফাভাবে বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত পণ্যের ওপর ভারতের অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্কারোপের ফলে ভারতে তা রপ্তানি বন্ধ হয়ে পড়েছে। ৫ জানুয়ারি ভারত সরকার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তারি আটকে গেছে। এ ব্যাপারে সরকারের কোনো উচ্চবাচ্চ নেই। দেশে রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক-অর্থনৈতিক আগ্রাসন এখন অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেড়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। রিজভী বলেন, বিচারিক প্রক্রিয়ার নামে জিয়া পরিবারকে অমানবিক আক্রমণই চালানো হচ্ছে। নাজেহাল করতে খালেদা জিয়াকে প্রতি সপ্তাহে একবার কিংবা দুবার আদালতে উপস্থিত থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। এটা সরকারপ্রধানের প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ।

 

সর্বশেষ খবর