মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

খেলাপি ঋণ ৬৩ হাজার কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

খেলাপি ঋণ ৬৩ হাজার কোটি টাকা

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানিয়েছেন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৩ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা। এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি বা কোম্পানির সংখ্যা ২ লাখ ১৩ হাজার ৫৩২ জন। স্পিকার ড. শিরীন

শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের চতুর্দশ শীতকালীন অধিবেশনে গতকাল প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। অর্থমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ শ্রেণিকরণ বিবরণী মোতাবেক বর্তমানে (সেপ্টেম্বর-২০১৬) ব্যাংকসমূহের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫৮ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। অন্যদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ। সুতরাং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৩ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেছেন, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্র মালিকানাধীন ৬টি ব্যাংকের অলস অর্থের পরিমাণ ছিল প্রায় ১ হাজার ২২৬ কোটি টাকা। এ ছাড়া বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের অলস অর্থের পরিমাণ যথাক্রমে ১৪৯ কোটি ও ১৫ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকে অলস টাকা পড়ে আছে— বিষয়টি সঠিক নয়। ঘোষিত মুদ্রানীতি অনুযায়ী বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ (ঋণ)-এর গতিধারা কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে রয়েছে। অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ১৯৫টি বিনিয়োগ ও ১৫০টি কারিগরি— এই মোট ৩৪৫টি বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। চুরি হওয়া রিজার্ভের অবশিষ্ট টাকা উদ্ধারের ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী সংসদকে জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি হওয়া রিজার্ভের অবশিষ্ট টাকা উদ্ধারে বাংলাদেশ ব্যাংক, এফআরবি নিউইয়র্ক ও সুইফটের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা চলমান রয়েছে। রিজার্ভের অবশিষ্ট অর্থ উদ্ধার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে ফেরতের লক্ষ্যে ফিলিপাইনে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। আরেক প্রশ্নে মুহিত বলেন, ওটিসি মার্কেটের কোম্পানির শেয়ারগুলো মূল মার্কেটে নিয়ে আসার জন্য সরকারের পরিকল্পনা আছে। এ লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

 

সর্বশেষ খবর