মার্কিন সিনেটে পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান ডেমোক্রেটিক পার্টির সিনেটর রবার্ট মেনেন্ডেজ খুব খুশি হয়েছেন সত্যিকারের সেক্যুলার ডেমোক্রেসি চালুর পথে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে যাওয়ায়। সিনেটর মেনেন্ডেজ বলেন, ‘ইট্স ডিমান্ড অব হিউম্যানিটি, ইট্স দ্য ভেল্যু অব হিউম্যানিটি’। খবর এনআরবি নিউজ। গত রবিবার নিউজার্সির প্যাটারসনে গ্রেট ফল্স পার্কে ‘ইন্টারফেইথ মার্চ’ শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশের সাইডলাইনে তার সঙ্গে একান্তে কথা বলেন আমেরিকা-বাংলাদেশ অ্যালায়েন্সের চেয়ারপারসন ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম। সালাম তাকে জানান, ‘নানা প্রতিবন্ধকতা এবং প্রতিকূলতা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক আগ্রহে বাংলাদেশে সত্যিকারের অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠার বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং সামাজিক-রাজনৈতিক-প্রশাসনে সেভাবেই সবকিছু পরিচালিত হচ্ছে।’ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক সাত মুসলিম দেশের নাগরিকদের ভিসা নিষিদ্ধের নির্বাহী আদেশ জারির পর কমিউনিটিতে সৃষ্ট উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার পরিপ্রেক্ষিতে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে সব ধর্ম-বর্ণ-গোত্রের আমেরিকানরা অংশগ্রহণ করেন। ইউএস সিনেটর কোরি বুকার, কংগ্রেসম্যান বিল প্রেসক্রল, প্যাটারসন সিটি মেয়র জয়ে টরেসসহ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা এতে বক্তব্য দেন। মঞ্চে উঠে এম এ সালাম মেনেন্ডেজকে জানান, ‘ট্রাম্পের মুসলিম বিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের সেক্যুলার ইমেজ আজ প্রশ্নবিদ্ধ। তেমনি অবস্থায় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ সত্যিকারের সেক্যুলার কান্ট্রিতে পরিণত হতে যাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।’ বাংলাদেশের ব্যাপারে প্রচণ্ড আগ্রহ দেখে সালাম জিএসপি প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বাংলাদেশের খেটে খাওয়া মানুষের স্বার্থে অবিলম্বে তা পুনর্বহালে যথাযথ সহায়তার আহ্বান জানান। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ ইত্যাদি প্রতিহত করে বাংলাদেশের সামগ্রিক এগিয়ে চলার বিষয়ে আলোকপাতও করেন সালাম। এসব তথ্য এই সংবাদদাতাকে জানিয়ে এম এ সালাম উল্লেখ করেন, ‘সিনেটরের সঙ্গে আলাপে মনে হয়েছে, বাংলাদেশের গার্মেন্ট সেক্টরের সামগ্রিক কল্যাণে শেখ হাসিনা সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রয়েছে তার।
