বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

বিএনপির বক্তব্য রাজনৈতিক কৌশল : নতুন সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে বিএনপি সমালোচনা করলেও তা ‘পলিটিক্যাল স্ট্র্যাটেজিক বক্তব্য’ বলে মনে করছেন কে এম নুরুল হুদা। রাষ্ট্রপতি সাবেক এই আমলার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন নিয়োগের পরদিন বিএনপির বক্তব্যের বিষয়ে গণমাধ্যমকে এমন প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তিনি। নতুন ইসি নিয়ে মঙ্গলবার রাতে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, ১৯৯৬ সালে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক থাকাকালে নুরুল হুদা জনতার মঞ্চের সংগঠক ছিলেন। এমন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়া সরকারি চাকরিবিধির নিদারুণ লঙ্ঘন ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ‘নিরাশ ও হতাশ’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, একজন বিতর্কিত সাবেক সরকারি কর্মকর্তার নেতৃত্বে গঠিত কোনো প্রতিষ্ঠান নির্মোহভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে না।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে নতুন সিইসি কে এম নুরুল হুদা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি কুমিল্লার জেলা প্রশাসক ছিলাম, জনতার মঞ্চে আমি কখনই ছিলাম না। এ নিয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই। যারা রাজনীতি করেন বা কোনো রাজনৈতিক দল যে বক্তব্য দিচ্ছে, তা পলিটিক্যাল স্ট্র্যাটেজিক বক্তব্য। এ নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। রাজনৈতিক বক্তব্য নিয়ে কোনো মন্তব্য করার নেই।’ শপথ নিয়ে যোগ দেওয়ার পরই সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে মনোযোগ দিতে চান সাবেক এই আমলা। ১৫ ফেব্রুয়ারি নতুন সিইসি ও চার নির্বাচন কমিশনারের শপথ হবে।

আগে বৈঠক নয় : নতুন সিইসি ও চার নির্বাচন কমিশনারের মধ্যে পরস্পর যোগাযোগ হচ্ছে। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে কোথাও বসে পরিচিত হওয়ার প্রাথমিক পরিকল্পনা থাকলেও তা বাদ দেন। শপথের পরই আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের মধ্যে দেখা হবে তাদের। কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘সবাইকে তো আমি মোটামুটি জানি। তবুও বসার একটা পরিকল্পনা থাকলেও তা বাদ হয়েছে। যোগাযোগ হয়েছে অন্যদের সঙ্গে। এখন তো কোনো কাজ হচ্ছে না, শপথ নেওয়ার পর বসলে চলবে।’

সর্বশেষ খবর