খ্যাতিমান লেখক ও অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেছেন, জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস হচ্ছে। যদি কোনো পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হয়, তাহলে মনে করতে হবে এর পেছনে পরীক্ষা কমিটির গাফিলাতি রয়েছে।
গতকাল চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে পিপীলিকা বাংলা উৎসব অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। জাফর ইকবাল আরও বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয় প্রশ্নফাঁস হবে না, তারা যদি সচেতন থাকে, তাহলে কোনোভাবেই প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার কথা নয়। যদি প্রশ্ন ফাঁস হয়েও থাকে, তাহলে বুঝতে হবে আগে থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, প্রশ্নপত্রের যে কোনো একটি সেট ফাঁস হলো, কিন্তু সব সেট ফাঁস হওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে, মূল পরিকল্পনার ভিতরে সমস্যা আছে। যারা প্রশ্নপত্র তৈরির দায়িত্বে আছেন তাদের কোনো শাস্তি হচ্ছে না। তাদের যদি ১০ বছরের জেল হতো তাহলে প্রশ্নপত্র ফাঁস হতো না। তিনি আরও বলেন, ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যক্তির সচেতনতা জরুরি। বিশ্বের যে কোনো দেশে গেলে আমরা দেখি তারা প্রত্যেকটা দোকান-অফিস-আদালতে সাইনবোর্ডে তাদের ভাষায় লিখছে। তারা চেষ্টা করে তাদের মাতৃভাষায় সবকিছু বলতে ও লিখতে। সেখানে আমরা কতটুকু বলছি বা লিখছি। বাংলা ভাষা ব্যবহারের দায়িত্ব কিন্তু আমাদেরই। তিনি বলেন, বর্তমানে শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে ফেসবুক। সেখানে তারা বাংলিশ ভাষা ব্যবহার করে। এতে যে ভাষার কত ক্ষতিসাধন হচ্ছে তা তারা বুঝতে পারছে না। তাই ভাষা ব্যবহারে তাদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন। দরকার হলে একলাইন বাংলা লিখি, কিন্তু তা যেন শুদ্ধভাবে লেখা হয়। ৭০টিরও বেশি স্কুল-কলেজের পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী উৎসবে অংশগ্রহণ করে। তাদের কাছ থেকে এক ঘণ্টার একটি পরীক্ষাও নেওয়া হয়। পরীক্ষায় প্রথম ৫০ জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়।