বাংলাদেশের অর্থনীতির গতি এখন যে কোনো দেশের কাছে ঈর্ষণীয়। আর এই অবস্থা চলতে থাকলে ২০৫০ সালে বিশ্বের ২৩তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ। বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান প্রাইস ওয়াটারহাউস কুপারস (পিডব্লিউসি) তাদের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। আর বাংলাদেশের বর্তমান গতিধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার হবে বিশ্বে ২৮তম।
পিডব্লিউসির প্রতিবেদনটির শিরোনাম ‘সুদূরপ্রসারী : ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্ব অর্থনীতির গতিধারা কীভাবে পরিবর্তন হবে?’। পিডব্লিউসির গবেষণায় বলা হয়, ২০৫০ সাল নাগাদ ক্রয়ক্ষমতার সক্ষমতার (পিপিপি) ভিত্তিতে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) দক্ষিণ আফ্রিকা, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, থাইল্যান্ড মালয়েশিয়ার মতো দেশকে ছাড়িয়ে যাবে। ২০১৬-২০৫০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলে বলা হয়েছে গবেষণায়। ২০৩০ সালে বাংলাদেশের জিডিপির আকার হবে ১ হাজার ৩২৪ বিলিয়ন ডলার। ২০৫০ সালে গিয়ে যা দাঁড়াবে ৩ হাজার ৬৪ বিলিয়ন ডলারে। আর ২০৫০ সালের মধ্যে আমেরিকাকে ছাড়িয়ে সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ হবে চীন। শুধু তাই নয় এই সময়ে ভারতও আমেরিকাকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে চলে যাবে। আমেরিকার অবস্থান হবে তৃতীয়। জাপান, জার্মানির মতো দেশগুলোরও অর্থনৈতিক ছন্দপতন ঘটবে। গবেষণায়, ২০৫০ সালে চতুর্থ স্থানে উঠে আসবে ইন্দোনেশিয়া, পঞ্চম স্থানে ব্রাজিল, ষষ্ঠ স্থানে রাশিয়া, সপ্তম স্থানে মেক্সিকো, অষ্টম স্থানে জাপান, নবম স্থানে জার্মানি ও দশম স্থান যুক্তরাজ্যের দখলে থাকবে।
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ৩২টি অর্থনীতির মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৩১। এই ৩২টি অর্থনীতি বিশ্বের মোট জিডিপির ৮৫ শতাংশের জোগান দেয়। ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বে বাংলাদেশ, ভারত ও ভিয়েতনামের জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের মধ্যে থাকবে। বিজনেস ইনসাইডার ও পিডব্লিউসি ওয়েবসাইট।