রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

বাংলাদেশি নীনাসহ ট্রাম্পে বিরক্ত ১৬ উপদেষ্টার পদত্যাগ

প্রতিদিন ডেস্ক

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এশিয়ান-আমেরিকান ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জবিষয়ক উপদেষ্টা কমিশনের আরও ১০ সদস্য পদত্যাগ করেছেন। মূলত অভিবাসন, শরণার্থী ও সাত মুসলিম দেশের নাগরিকের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাসহ ট্রাম্পের কিছু নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই এ সিদ্ধান্ত নেন তারা। তারা তাদের পদত্যাগের বিষয়টি গত বৃহস্পতিবার এক চিঠিতে ট্রাম্পকে জানিয়েছেন। ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের শপথের দিন এই কমিশনের অন্যতম উপদেষ্টা বাংলাদেশি- আমেরিকান ড. নীনা আহমেদসহ ছয়জন পদত্যাগ করেন। অবশিষ্ট চারজন উপদেষ্টা যদি পদত্যাগ না করেন তবে তারা ৩০ সেপ্টেম্বর নাগাদ বহাল থাকবেন। খবর এনআরবি নিউজ।

ড. নীনা আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচার সমাবেশ ও টিভি বিতর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসনবিরোধী এবং মুসলিমবিদ্বেষী বক্তব্য, মন্তব্য, মতামত আমাকে বিস্ময়ে হতবাক করে। তার প্রতিটি বক্তব্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রের নীতি, আদর্শ আর মূল্যবোধের পরিপন্থী। এজন্য আমিসহ ছয়জন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের দিনই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।’

ড. নীনা অন্য ১০ জনকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘বিলম্বে হলেও তাদের বোধোদয় ঘটেছে। তারাও সরে এসেছেন ট্রাম্পের গণবিরোধী, অভিবাসনবিরোধী পদক্ষেপে অতিষ্ঠ হয়ে।’

পদত্যাগকারীদের মধ্যে ওই কমিশনের চেয়ার টাং টি নিগুয়েন এবং ভাইস চেয়ার মেরি ওকাডাও রয়েছেন। অন্য কমিশনাররা হলেন মাইকেল বাইয়ুম, ক্যাথি কো চিন, জ্যাকব ফিটিসিমানো জুনিয়র, দাফনি কাউক, ডি জে মেইলার, মলিক পাঞ্চলি, লিন্ডা ফ্যান, সঞ্জিতা প্রধান। এদের সবাইকে নিয়োগ দিয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।

দ্বিতীয় দফা পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘অভিবাসী, শরণার্থী ও সাত মুসলিম দেশের নাগরিকের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে প্রেসিডেন্টের নিষেধাজ্ঞার আদেশ এবং ওবামা কেয়ার বাতিলে ট্রাম্প প্রশাসনের দৃঢ় মনোভাব পুরোপুরি কমিশনের নিয়মনীতির বিরুদ্ধে।’

কমিশনের সদস্যরা বলেছেন, ‘১৩ জানুয়ারি এশিয়ান-আমেরিকান ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের সম্প্রদায়গুলোর ইস্যুটি নিয়ে আলোচনার জন্য প্রেসিডেন্টকে একটি পৃথক চিঠি পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এর কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।’

১৯৯৯ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের আমলে প্রথম গঠিত হয় এই কমিশন। এরপর প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ও বারাক ওবামার আমলে তা পুনর্গঠিত হয়েছে। এই কমিশনে ড. নীনা আহমেদ ছিলেন ওবামা প্রশাসনে সর্বোচ্চ পদমর্যাদার বাংলাদেশি-আমেরিকান। এ পদে অধিষ্ঠিত থাকাবস্থায়ই ড. নীনাকে ফিলাডেলফিয়া সিটির ডেপুটি মেয়র নিযুক্ত করা হয়। এখন তিনি সে দায়িত্বে পুরোপুরি মনোনিবেশ করেছেন ট্রাম্প প্রশাসনের বিভিন্ন পদক্ষেপে সন্ত্রস্ত অভিবাসী সমাজে স্বস্তি এনে দেওয়ার জন্য।

সর্বশেষ খবর