মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
ফের আলোচনায় মিতু হত্যা

চাইলেই তাকে গ্রেফতার করা যায় না : আইজিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যার অভিযোগে সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে গ্রেফতারের বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, বাবুল আক্তার একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা। তাকে চাইলেই গ্রেফতার করা যায় না। গতকাল বিকালে মিরপুরের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) প্যারেড গ্রাউন্ডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় এ কথা বলেন তিনি। খবর অনলাইন সূত্রের। অনুষ্ঠানে শহীদুল হক বলেন, ‘মিতু হত্যায় জড়িতদের আমরা গ্রেফতার করেছি। কয়েকজন এনকাউন্টারে মারাও গেছেন।’ মিতু হত্যায় বাবুলের সম্পৃক্ততার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বাবুল আক্তারের বিষয়টি এখনো আমাদের কাছে অস্পষ্ট। কারণ খুনি যিনি ভাড়া করেছেন, সেই মুসাকে আমরা এখনো গ্রেফতার করতে পারিনি। তাকে গ্রেফতার করতে পারলেই বাবুল আক্তারের বিষয়ে স্পষ্ট হতে পারব। সিএমপি মুসাকে গ্রেফতার করতে ইতিমধ্যে পুরস্কার ঘোষণা করেছে।’

বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, ‘তিনি একজন অফিসার। তার বিষয়ে কংক্রিট অ্যাভিডেন্স না পেলে তো কিছু করা যায় না। মুসাকে গ্রেফতার করলেই পুরো বিষয়টি ক্লিয়ার হবে। তখন যদি বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তাহলে তাকে গ্রেফতার করা হবে, আইনের আওতায় আনা হবে।’

 গত বছরের ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু। ঘটনার পর পুলিশ জানায়, জঙ্গি দমনে বাবুলের সাহসী ভূমিকার কারণে জঙ্গিরা মিতুকে খুন করে থাকতে পারে। হত্যাকাণ্ডের পরদিন অজ্ঞাত পরিচয় তিন ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন বাবুল আক্তার।

তবে পুলিশ সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে কয়েকজনকে গ্রেফতারের পর পাল্টে যায় দৃশ্যপট। অভিযোগের তীর ছুটে যায় চট্টগ্রাম থেকে এসপি হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে ডিএমপিতে বদলি হওয়া বাবুলের দিকে।

স্ত্রী খুন হওয়ার পর দুই সন্তানকে নিয়ে ঢাকার বনশ্রীতে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন বাবুল। গত বছরের ২৪ জুন ডিবি কার্যালয়ে দীর্ঘ ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। তখন জানা যায়, বাবুল আক্তার একটি কাগজে স্বাক্ষর করেছেন। পরে জানা যায়, চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি। তবে বাবুলের শ্বশুর অভিযোগ করেন, তাকে (বাবুল) জোর করে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। গত বছরের ১৪ আগস্ট বাবুল আক্তারের চাকরি থেকে অব্যাহতির আবেদনপত্র পাওয়ার কথা স্বীকার করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এরপর ৬ সেপ্টেম্বর বাবুলকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

কয়েক দিন আগে বাবুল আক্তারের শ্বশুর ও শাশুড়িকে চট্টগ্রামে ডেকে তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাবুলের বিষয়ে সন্দেহের কথা জানান তার শ্বশুর মোশাররফ হোসেন। রবিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকায় এসে বাবুলের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন আবার।

বাবুল আক্তার বর্তমানে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর