মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
নির্বাচনী সহিংসতা

সিলেটে নিহত আরও একজন, মনোনয়নপত্র ছিনতাই নরসিংদীতে

প্রতিদিন ডেস্ক

সিলেটে নির্বাচনী সহিংসতার জেরে গতকাল সুহেল মিয়া (৩৫) নামে আরও এক আহত ব্যক্তি মারা গেছেন। এ ছাড়া এদিন নরসিংদী জেলা পরিষদের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

সিলেট থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষে আহত সুহেল মিয়া গতকাল সকালে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। সুহেল দক্ষিণ কালনীচর গ্রামের মাহমুদ মিয়ার ছেলে। এর আগের দিন সাদীপুর ইউনিয়নের উত্তর কালনীচর গ্রামে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আতাউর রহমান ও বিদ্রোহী প্রার্থী আকতারুজ্জামান চৌধুরী জগলুর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে সাইফুল ইসলাম (১৬) নামে এক কিশোর নিহত হয়। ওসমানীনগর থানার ওসি আবদুল আউয়াল চৌধুরী জানান, রবিবারের সংঘর্ষে আহত সুহেল মিয়া গতকাল সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় আটক কৃষ্ণমণি, আখলিছ মিয়া, রুহুল আমিন, রাসেল মিয়া ও মিছার আহমদকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। নরসিংদী প্রতিনিধি জানান, গতকাল নরসিংদী জেলা পরিষদের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, দুপুর ১টার দিকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন ভূঞা দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসেন। তারা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাসের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। বিকাল ৩টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা নির্বাচন অফিস ও জেলা আইনজীবী সমিতিতে কিছু বহিরাগত লোক ঢুকে পড়েন। তারা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জুবায়ের আহমেদ জুয়েল ও রায়পুরা পৌরসভা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহবুব আলম শাহীনের মনোনয়নপত্র ছিনতাই করে নিয়ে যান। জানা গেছে, বিষয়টি মাহবুব আলম শাহীন রিটার্নিং কর্মকর্তার নজরে আনলে পুনরায় তিনি মনোনয়নপত্রের ফরম দিয়ে তা নির্দিষ্ট সময়ে জমা দিতে বলেন। শাহীন দ্রুত মনোনয়নপত্র পূরণ করে পৌনে ৫টার দিকে তা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাসের কাছে জমা দেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর