বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

হলি আর্টিজান হামলার অস্ত্র সরবরাহকারী গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্রের সরবরাহকারী চক্রের প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বনানী থেকে তাকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। গতকাল তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আগামী ৫ মার্চ রিমান্ডের শুনানির দিন ধার্য করে আদালত। ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাতে বনানীর কাকলী ক্রসিংয়ে একটি বাস থেকে বড় মিজানকে গ্রেফতার করে সিটিটিসি। তিনি নব্য জেএমবির চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তবর্তী শিবগঞ্জ এলাকার প্রধান দায়িত্বশীল ব্যক্তি। আগে জুন্দ আল তাওহীদ নামে জঙ্গি সংগঠনের প্রধান সামরিক কমান্ডার ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি নব্য জেএমবির তামিম চৌধুরীর মাধ্যমে জেএমবির বায়াত গ্রহণ করেন। পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বড় মিজানের নেতৃত্বে নব্য জেএমবি চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তকেন্দ্রিক অস্ত্র ও গ্রেনেড তৈরির উপকরণ, ডেটোনেটর ও পাওয়ার জেল চোরাচালানের একটি চক্র বা সিন্ডিকেট গঠন করে, যারা নব্য জেএমবির প্রায় সব অস্ত্র, ডেটোনেটর ও পাওয়ার জেল সরবরাহ করে আসছিল। গুলশান হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলায় ব্যবহৃত গ্রেনেড ও পিস্তলগুলো বড় মিজানের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থেকে একটি আম বহনকারী ট্রাকে ফলের ঝুড়ির ভিতর লুকিয়ে ঢাকায় আনা হয়। পরে ভাটারা এলাকায় নব্য জেএমবির তানভীর কাদেরীর বাসায় নেওয়া হয়। সেখান থেকে ওই অস্ত্রগুলো তামিম চৌধুরীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। প্রসঙ্গত, গত ১ জুলাই হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার সময় জঙ্গিরা পাঁচটি নাইন এমএম পিস্তল, তিনটি একে ২২ রাইফেল ও ১১টি হ্যান্ড গ্রেনেড ছাড়াও বিপুল পরিমাণ গুলি ব্যবহার করে। এসব আগ্নেয়াস্ত্র ভারতের বিহারের মুঙ্গের শহরে প্রথমে তৈরির প্রস্তাব আসে। পরে মুঙ্গেরের অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র কারখানায় ওই সব ছোট আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কোনো প্রযুক্তি ছিল না। পরে পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার একটি কারখানায় ওই অস্ত্র তৈরি হয়।

 এরপর ওই সব অস্ত্র মালদহ জেলার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে প্রবেশ করানো হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর