শনিবার, ৪ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

কুমিল্লার বাহার আফজল দ্বন্দ্বের নিরসন হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

কুমিল্লার বাহার আফজল দ্বন্দ্বের নিরসন হবে

ওবায়দুল কাদের

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের দুই নেতা আফজল খান ও আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের মধ্যে পুরনো দ্বন্দ্ব নিরসন হবে বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের দ্বন্দ্বটা কি কুমিল্লার চেয়ে তীব্র ছিল না? তো, এটা আমরা মিটিয়ে ফেলেছি না? নির্বাচনের দিন একযোগে কাজ করে বিজয় ছিনিয়ে আনিনি? সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় দলীয় প্রার্থী (সেলিনা হায়াৎ আইভী) বিজয়ী হয়েছিলেন। নারায়ণগঞ্জে যেটা সম্ভব হয়েছে, কুমিল্লায়ও সেটা সম্ভব। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সেখানে লড়ব।’ তিনি বলেন, ‘জনগণ যাকে ইচ্ছা ভোট দেবে। কিন্তু আমরা আশা করি আমাদের দল ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে লড়বে। আর নির্বাচনে আমাদের দল থেকে ভিন্ন কোনো প্রার্থী দেওয়া হয়েছে? আওয়ামী লীগ একটি বড় পরিবার। এখানে ভাইয়ে ভাইয়ে ছোটখাটো সমস্যা থাকবেই। নারায়ণগঞ্জে আমরা সমাধান করেছি, কুমিল্লায়ও সমাধান করব।’ আজ রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে সংগঠনের পঞ্চম জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে সম্মেলনের প্রস্তুতি তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুন্নেছা মোশাররফ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সদস্য এস এম কামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক পিনু খান, সহসভাপতি সাফিয়া বেগম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক প্রমুখ।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণ ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না, দলটির নেতাদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সময় এবং নদীর স্রোত কারও জন্য অপেক্ষা করে না। তেমনি সংবিধান ও নির্বাচন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না। এবারও যদি কেউ না আসে; তবে না আসার কোনো কারণ নেই। নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে এমন ঝুঁকি নিয়ে বোকার মতো নির্বাচনে বিএনপি না আসার সিদ্ধান্ত নেবে বলে আমার মনে হয় না।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে বিএনপির অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ আছে কিনা— সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে বিএনপির অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ সংবিধানে আছে কিনা, এটা হলো আমার প্রথম প্রশ্ন। সংবিধানে না থাকলে এই সুযোগ আমি কীভাবে দেব।’

দলের শৃঙ্খলা ফেরাতে তৃণমূলে একটি ‘সার্কুলার’ গেছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘দলের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। দলের মধ্যে কলহ-কোন্দল চলবে না। জনগণের অগ্রহণযোগ্য কোনো কাজ করা যাবে না। জন-অসন্তোষ সৃষ্টি হয় এমন কোনো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়া যাবে না। দলীয় শৃঙ্খলার বিষয়ে আমরা পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছি, দলের নিম্নতম শাখার কেউ অপরাধী হলে সরাসরি বহিষ্কার করা যাবে না। কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানাতে হবে, এই কারণে একে বহিষ্কার করা উচিত। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী কমিটি এটা চূড়ান্ত করবে।’

সর্বশেষ খবর