রবিবার, ৫ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

কর ফাঁকিবাজ চিহ্নিত করতে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

কর ফাঁকিবাজ চিহ্নিত করতে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে

নজিবুর রহমান

কর ফাঁকিবাজদের চিহ্নিত করতে নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠন করার কথা জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান। এই ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিষয় নিয়ে আমি আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করব। আমাদের গোয়েন্দা বিভাগগুলো সেই কাজ করছে। এখানে আইনগত ফোরাম তৈরি করা গেলে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহে গতি আরও বাড়বে।

গতকাল রাজধানীর কারওরানবাজার সংলগ্ন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘আয়কর ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক ছায়া সংসদ বিতর্ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান। তিনি এই বিতর্ক অনুষ্ঠান থেকেই ট্রাইব্যুনাল গঠনের ধারণা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। সংগঠনটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সঞ্চালনায় বিতর্কে সরকারি দল হিসেবে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ও বিরোধী দল হিসেবে প্রাইম ইউনিভার্সিটি অংশগ্রহণ করে। বিতর্কে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি জয়ী হয়।

ওই বিতর্ক অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান তার অসৎ কর্মকর্তাদের মূল্যায়ন করে বলেন, আমি আমাদের সহকর্মীদের তিন ভাগে ভাগ করি। যারা খুব ভালো কাজ করেন, তারা হলেন সবুজ কর্মকর্তা। যারা মোটামুটি ধরনের কাজ করেন, তারা হলুদ কর্মকর্তা। এবং যারা দেশের জন্য কাজ করেন না, তাদের বলি লাল কর্মকর্তা। এদেরকে আমি প্রাথমিকভাবে স্বদেশ প্রেমে উৎসাহিত করি।

তার দাবি— এনবিআরের গোয়েন্দা বিভাগ অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করে। এজন্যে তাদের সুরক্ষার প্রয়োজন হয়। আমি তাদের সুরক্ষা প্রদান করি। প্রধানমন্ত্রীও এ সব বিষয়ে খুব আপোসহীন। সুতরাং পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে। সরকারের এই সিনিয়র সচিব আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, রাজস্ব প্রশাসন কেমন চলছে, জবাবে আমি বলেছি—পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। লাল কর্মকর্তা হলুদ হচ্ছেন। হলুদ কর্মকর্তা সুবজ হচ্ছেন। একথা বলার পর প্রধানমন্ত্রী জানতে চাইলেন— তাহলে সবুজ কর্মকর্তাদের কি অবস্থা? তখন প্রধানমন্ত্রীকে আমি বলেছি, তারা গাঢ় সবুজ হচ্ছেন। সুতরাং আমরা এগুচ্ছি। কোথাও কোথাও অন্ধকার আছে। এগুলোকে আমরা আলোমুখর করছি। এবং মাঝে মাঝে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, মানুষের মধ্যে যে করভীতি আছে, তা দূর করতে হবে। কীভাবে কর ব্যবস্থাপনা সহজ করা যায়, সে জন্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। আদালতে ঝুলে থাকা বড় কর ফাঁকিবাজদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারের ব্যবস্থা করে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে।

সর্বশেষ খবর