শিরোনাম
রবিবার, ৫ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

সিরিয়া যাওয়ার আগেই ধরা পড়ে যান কাসেম

নিজস্ব প্রতিবেদক

সিরিয়ায় যাওয়ার আগেই ধরা পড়ে গেলেন নব্য জেএমবির আধ্যাত্মিক নেতা মাওলানা আবুল কাশেম ওরফে বড় হুজুর। সিরিয়ায় অবস্থানরত জুন্নুন শিকদার, সাইফুল্লাহ ও জাকিসহ বিদেশে অবস্থানরত অনেক নব্য জেএমবির সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তার। যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা না থাকলেও স্বচক্ষে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে চেয়েছিলেন তিনি। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রান্সন্যাশনাল অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিসিটি) ইউনিটের কাছে সাত দিনের রিমান্ডে থাকা কাশেম এমনই তথ্য দিয়েছেন বলে সূত্র জানিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর সেনপাড়া পর্বতা এলাকা  থেকে কাশেমকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ বলেছে, এক ভক্তের বিকাশে পাঠানো ১৫ হাজার টাকা তুলতে গিয়েই ধরা পড়েন বড় হুজুর।  তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জিহাদে উদ্বুদ্ধ করতে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিতেন কাশেম ওরফে বড় হুজুর। জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হননি এমন যুবকদের কৌশলে কাশেমের কাছে পাঠানো হতো। তার প্রতিটি কথা জাদুর মতো কাজ করত। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই নিরপরাধ যুবকদের মগজ ধোলাইয়ের কাজটি করতেন তিনি। এতে মননে মগজে হিংস্র হয়ে উঠত ওই যুবকেরা। যদিও বড় হুজুর নিজে কখনো জিহাদে অংশ নেয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেননি। তবে সম্প্রতি সিরিয়ায় গিয়ে যুদ্ধ পরিস্থিতি দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। নব্য জেএমবির অনেক শীর্ষ নেতার সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনাও করেছিলেন তিনি। গত শুক্রবার গণমাধ্যম কর্মীদের সিটিসিটি প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছিলেন, কাসেমকে সংগঠনের সবাই বড় হুজুর বলে ডাকতেন। তিনিই গুলশান হামলার অনুমোদন দিয়েছিলেন। তবে এই হামলায় তার সম্পৃক্ততা কতটুকু তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হলি আর্টিজান হামলা মামলার চার্জশীট ও চলতি বছরের শেষের দিকে দেয়া হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সূত্র বলছে, কাশেমের বাড়ি কুড়িগ্রাম। তিনি দিনাজপুরের রানীরবন্দর এলাকার একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। দিনাজপুরের ওই মাদ্রাসা থেকে প্রায় দেড় বছর আগে পালিয়ে যান তিনি। নব্য জেএমবির আধ্যাত্মিক  নেতা হিসেবে ২০১৫ সালে তার নাম জানতে পারে পুলিশ। কাশেমের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর