রবিবার, ৫ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করেই নির্বাচনে যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করেই নির্বাচনে যাব

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘এদেশে যদি বিএনপির নিবন্ধন বাতিল হয়, আমার মনে হয়, কোনো দলেরই নিবন্ধন থাকবে না।’ গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী নাগরিক দলের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আয়োজিত এক  আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করেই আমরা ইনশাল্লাহ নির্বাচন করব, সেখানে নিবন্ধন বাতিলের প্রশ্নই উঠবে না। সেই পরিস্থিতিতে যদি সরকার এ দেশকে ঠেলে দেন, তা হলে তার জন্য এই সরকারকেই দায়ী থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী দায়ী থাকবেন। যদি ব্যক্তি স্বার্থে, ব্যক্তি লোভে দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেন, তার জন্য আপনাকে দায়ী থাকতে হবে।’ একাদশ সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে ড. মোশাররফ বলেন, ‘বিএনপি সবসময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত দল। যদি অংশগ্রহণমূলক, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, যে কোনো সময়ে নির্বাচনে যাওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত। আমাদের চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে দায়ের মামলাগুলোর তথ্য-উপাত্ত-যুক্তি নেই। ওইসব মামলার অভিযোগ সবটাই বানোয়াট ও মিথ্যা, কোনোটাই প্রমাণ করতে পারবে না সরকার। তারা এই মামলা দিয়ে চেয়ারপারসনের ওপর মানসিকভাবে চাপ সৃষ্টি করে আমাদেরকে দুর্বল করতে চায়।’ মামলায় শাস্তি দিয়ে সরকার খালেদা জিয়াকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে চাইছে দাবি করে ড. মোশাররফ বলেন, ‘আপনারা এই চেষ্টা থেকে বিরত থাকুন। সহজ পথে আসুন, গণতন্ত্রের পথে আসুন। অন্যথায় জনগণের যে রোষ ও জনগণের যে ক্ষোভ, তা বেশিদিন ঘরের ভিতরে অবস্থান করবে না। অতি শিগগিরই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটবে।’ জাতীয়তাবাদী নাগরিক দলের সভাপতি সৈয়দ মো. ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, খালেদা ইয়াসমীন, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য দেন। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের এক অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ হলে তার দলও তাতে অংশ নেবে। নিরপেক্ষ সরকার হতে হবে, সেই রকম নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিশ্চয়ই বিএনপি নির্বাচনে যাবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘আপনি বলেছেন, বিএনপি যদি না আসে রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যাবে। আরে রেজিস্ট্রেশন কী? আপনারা যখন ’৭৯ সালে, ’৮৬ সালে নির্বাচনে গিয়েছিলেন, কোন নিবন্ধনের ওপরে নির্বাচনে গিয়েছিলেন? একটি রাজনৈতিক দলের প্রতি জনগণের ইচ্ছা-অনিইচ্ছাটাই বড় নিবন্ধন। মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে ‘লিডারশিপ ওয়ার্কশপ’ এই অনুষ্ঠানে বিএনপির অ্যাডভোটের আবদুস সালাম আজাদ, যুবদলের নুরুল ইসলাম নয়ন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান বক্তব্য রাখেন।

সর্বশেষ খবর