সোমবার, ৬ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

তিস্তা চুক্তিতে আশা পানিসম্পদমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

তিস্তা চুক্তিতে আশা পানিসম্পদমন্ত্রীর

পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময় তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কথা হবে। তবে শেষ পর্যন্ত আসলে কী ঘটতে যাচ্ছে, তা বলা যাচ্ছে না। পানি নিয়ে ভারতে এখন রাজনীতি হচ্ছে। তিনি আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং তিস্তা চুক্তি সইয়ের ব্যাপারে বাংলাদেশকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা থেকে তারা বিচ্যুত হবেন না। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন তিনি। ডিআরইউ প্রেসিডেন্ট সাখাওয়াত হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোরসালিন নোমানী। সরকার নদী খননকে গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়ে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, বালুর বিনিময়ে বড় নদীগুলো খননের বিষয়ে সিঙ্গাপুরের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা চলছে। টাকা ছাড়াই তারা নদী খনন করে দেবে। বিনিময়ে তারা বালু নিয়ে যাবে। প্রাথমিক পর্যায়ে যমুনা নদীর ড্রেজিংয়ের (খনন) কথা হচ্ছে। তিস্তা চুক্তি সইয়ের সম্ভাবনা কম বলে বাংলাদেশ কি এখন গঙ্গা ব্যারাজের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা দুটি বিষয়ই গুরুত্ব দিচ্ছি। দুটিই আমাদের প্রয়োজন এবং সেভাবেই চেষ্টা চলছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে যখন আমরা কাজ করি, তখন কিছুটা বাস্তববাদী হতে হয়। কাজেই এসব সমস্যা মাথায় রেখেই এগোতে হয়। গঙ্গা ব্যারাজ নির্মাণে ভারতের সহযোগিতা প্রসঙ্গে পানিসম্পদমন্ত্রী বলেন, গঙ্গা ব্যারাজ যে এলাকায় হবে, তার এক-চতুর্থাংশ ভারতে পড়েছে। এই প্রকল্পের ব্যাপারে ভারতের কিছু প্রশ্ন ছিল। বিশেষ করে পানির উল্টো প্রবাহ, পলি জমে ওঠার ব্যাপারে তাদের প্রশ্ন ছিল। এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা তাদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছি। দুই দেশের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি হয়েছে। আশা করি, এই কমিটি তাদের সমীক্ষা প্রতিবেদন দেবে। তিনি বলেন, ফারাক্কা ব্যারাজের ব্যাপারে ভারতের রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক চলছে। বিশেষ করে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার সম্প্রতি জোরালোভাবে ফারাক্কা ব্যারাজের নেতিবাচক বিষয় নিয়ে কথা বলছেন। তাই গঙ্গা ব্যারাজ তৈরি হলে আমাদের দেশে কোনো ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কি না, তা আমরা আবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখি।

সর্বশেষ খবর