মঙ্গলবার, ৭ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

আগামী নির্বাচনের কর্ম পরিকল্পনায় ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী নির্বাচনের কর্ম পরিকল্পনায় ইসি

একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে যাবতীয় কাজের রূপরেখা তৈরি করছে কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন নতুন নির্বাচন কমিশন। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনের আগে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করার চিন্তা করা হচ্ছে। এ ছাড়া নির্বাচন বিষয়ে সুশীল সমাজ, গণমাধ্যমসহ সব স্টেকহোল্ডারের মতামত নেওয়ার প্রস্তাবনা রাখবে ইসি সচিবালয়।

২০১৮ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের জানুয়ারির মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কে এম নূরুল হুদা কমিশনের অধীনে। এ জন্য আগামী ২২ মাস সংসদ নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাজ করতেই চলতি মাসের মধ্যে চূড়ন্ত করা হবে এ নির্বাচনী কর্মপরিকল্পনা। ইসি সচিবালয় জানিয়েছে, আগামী ২২ মাসের কর্মপরিকল্পনার (নির্বাচনী রোডম্যাপ) মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থার নিবন্ধন, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা মুদ্রণ ও আলোচনার জন্য সম্ভাব্য সূচি থাকবে। সেই সঙ্গে সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করে কাজ শেষ করার বিষয়টি অগ্রাধিকার পাবে। আগামী নির্বাচনের বিষয়ে গতকাল বিকালে রাজধানীর আগারগাঁয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইসি সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জানান, বর্তমান ইসির সামনে বড় ইস্যু হচ্ছে একাদশ সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচন করতে ভবিষ্যতে কী কী করণীয় রয়েছে, কাজগুলো কত দিনের মধ্যে করতে হবে—এ জন্য একটি চেকলিস্ট প্রণয়ন করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে এ-সংক্রান্ত রূপরেখা তৈরি করার কাজ চলছে বলে জানান তিনি। সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনের পথে করণীয় নিয়ে একটা কর্মপরিকল্পনা করা হচ্ছে। এটা হচ্ছে একটা রোডম্যাপ, যার ভিত্তিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করা হবে। কর্মপরিকল্পনায় প্রস্তাবিত বিষয়গুলো কমিশন বিবেচনা করে যে সিদ্ধান্ত দেবে সে অনুযায়ী তা বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান তিনি। ইসি ‘ভালো’ কাজ করছে মন্তব্য করে সচিব বলেন, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমরা কাজ করছি, ভালো কাজ করছি। ভালো কাজ মানুষকে জানান দিতে হবে। সবার কাছে তা পৌঁছাতে হবে।’ মার্চের মধ্যে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করে ইসির অনুমোদন নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

ইসি সচিব বলেন, ‘মার্চের মধ্যেই আমরা একটি চেকলিস্ট তৈরি করব, যেখানে রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমসহ সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে সংলাপের প্রস্তাবনা থাকবে। আমি মনে করি এটা করার দরকার আছে। কেননা আমি ন্যায়বিচার করব, তা দেখাতেও হবে যে দেখুন, এটা ন্যায়বিচার।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে যেসব দল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে কিন্তু নিবন্ধন নেই, তারা যে কোনো সময় নিবন্ধন পেতে আবেদন করতে পারে।

সবার মতামত নিতে প্রস্তাব করবে ইসি সচিবালয় : জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রয়োজনীয় বিষয়ে রাজনৈতিক দলসহ সবার মতামত নেওয়ার পক্ষে কমিশনের কাছে প্রস্তাব রাখবে ইসি সচিবালয়। এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যমসহ সব স্টেকহোল্ডারের মতামত নেওয়ার প্রস্তাবনা থাকবে। ইসি সচিবালয়ের পক্ষ থেকে প্রস্তাব থাকবে, তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক নির্বাচন কমিশন। ইসি সচিবালয়ের সুপারিশের পর ‘পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে’ বা পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনা করে সবার সঙ্গে বসার বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে মনে করেন তিনি।

সর্বশেষ খবর