বুধবার, ৮ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

সাইবার অপরাধ নিরাপত্তার জন্য হুমকি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাইবার অপরাধ নিরাপত্তার জন্য হুমকি

শিরীন শারমিন চৌধুরী

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘সাইবার অপরাধ জননিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, পার্সোনাল ইনফরমেশন ও সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। সাইবার সিকিউরিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সে কারণে একে বেশ গুরুত্ব দিতে হবে।

গতকাল রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ ফোকাসিং অন সাইবার ক্রাইম সেফ ইন্টারনেট অ্যান্ড ব্রডব্যান্ড’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান (অব.), সিপিএ মহাসচিব শোলা টেইলর, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার প্রমুখ বক্তব্য দেন। কমনওয়েলথ টেলিকমিউনিকেশন অর্গানাইজেশনের (সিটিও) উদ্যোগে ও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) সহযোগিতায় সাইবার অপরাধ বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও এর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকায় দুই দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আরও বলেন, দেশের ব্যাংকিং সেক্টর থেকে শুরু করে জীবনের সব ক্ষেত্রে যেহেতু ডিজিটাল উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে, সেহেতু আমাদের প্রত্যেককে যে কোনো মূল্যে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সামনে রেখে কাজ করছে বর্তমান সরকার। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সাইবার অপরাধ বন্ধ এবং নিরাপদ ইন্টারন্টে সেবা নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে আইনগত কাঠামোয় উল্লেখযোগ্য সংস্কার করেছে। এ ছাড়া সাইবার সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজিও প্রস্তুত করা হচ্ছে। সংসদ সদ্যসরাও এ ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে চেষ্টা করছেন। স্পিকার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে টেলিকমিউনিকেশন ও সাইবার সিকিউরিটি আরও জোরদার করতে সরকারের নানামুখী কাজ চলছে। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সরকারের তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ও নিরলসভাবে কাজ করছেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, জঙ্গিবাদসহ আপত্তিকর কনটেন্ট প্রদানকারী শনাক্ত করার জন্য চলতি মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হবে। তিনি বলেন, জনগণের কাছে সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সিটিও মহাসচিব শোলা টেইলর বলেন, সাইবার অপরাধ দমনে নীতি ও দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমন নীতি নিতে হবে যেখানে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান, নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং ব্যবহারকারীদের মধ্যে নিরাপত্তাসংক্রান্ত প্রযুক্তিগত বিষয়ে সমন্বয় ও সচেতনতার সমপর্যায় থাকবে। সেমিনারে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মোবাইল ফোন ও টেলিযোগাযোগ অপারেটরদের প্রতিনিধি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বিটিআরসির কর্মকর্তাসহ একাধিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিও কর্মশালায় অংশ নিচ্ছেন। নয়টি পৃথক সেশনে এ কর্মশালা আজ শেষ হবে।

সর্বশেষ খবর