বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা
মামলা ৬০ দিনে নিষ্পত্তির নির্দেশ

খালেদা জিয়ার অনাস্থায় আদালত পরিবর্তন

নিজস্ব প্রতিবেদক

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতের বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে আদালত পরিবর্তনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। উচ্চ আদালত মামলাটি ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছে। এই আদালতে ৬০ দিনের মধ্যে মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ করতে বলা হয়েছে। গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। তার সঙ্গে ছিলেন কায়সার কামাল ও রাগিব রউফ চৌধুরী। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। ২২ ফেব্রুয়ারি শুনানি শুরু হয়। ৫ মার্চ শুনানি শেষে আদেশের জন্য দিন ধার্য হয়। এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এ আবেদন করেন। বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস এবং ?বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বিষয়টি শুনানির জন্য ১৩ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করে। কিন্তু এরই মধ্যে ওই আদালতের বিচারিক এখতিয়ার পরিবর্তন হওয়ায় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানির জন্য খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আবেদন করেন। মামলাটি বর্তমানে রাজধানীর বকশীবাজারের কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে বিচারাধীন। গত ২ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া বিশেষ আদালতের বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানান। তার সেই আবেদন খারিজ করে আদালত। এর বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রাজধানীর রমনা থানায় দুদক এ মামলা দায়ের করে। এতে এতিমদের সহায়তার উদ্দেশে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ আনা হয়। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুদক মামলা করে।

অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার অংশবিশেষের পুনঃতদন্তের আবেদনে আদেশ আজ :এদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার অংশবিশেষের বিষয়ে পুনরায় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনের ওপর শুনানি হয়। শুনানি শেষে আজ আদেশের দিন ধার্য করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী আবদুর রেজাক খান শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. জাকির হোসেন ভূঁইয়া। তিনি জানান, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ টাকা এসেছে সৌদি আরব থেকে। আসলে এই অর্থ কুয়েতের আমির অরফানেজ ট্রাস্টের জন্য দিয়েছেন। যেই টাকা লাভসহ এখনো ট্রাস্ট ফান্ডে জমা রয়েছে। তাই মামলার এই অংশ পুনঃতদন্তের জন্য বিচারিক আদালতে আমরা আবেদন করলেও তা নাকচ হয়। এর বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেছি। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। ওই মামলায় এতিমদের সহায়তার জন্য একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৫ আগস্ট এ মামলার অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা।

সর্বশেষ খবর