ছিনতাই কাজে এবার ব্যবহার হচ্ছে বিলাসবহুল বিএমডব্লিউ গাড়ি। এমনকি চোরাচালান, মাদক ব্যবসাসহ অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডেও এমন দামি গাড়ি হরহামেশাই ব্যবহার করছে দুর্বৃত্তরা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দামি গাড়ি দিয়ে একের পর এক অপরাধ করে গেলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে এর মালিকরা। যাত্রাবাড়ীর গোলাপবাগের ২৩/বি নম্বর বাড়ির গ্যারেজ থেকে তিন কোটি টাকা মূল্যের এমনই একটি বিলাসবহুল বিএমডব্লিউ গাড়ি আটক করেছে র্যাব। র্যাব বলছে, জব্দকৃত বিএমডব্লিউ গাড়িটি বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে ব্যবহূত হতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে নিবন্ধন ও নম্বরবিহীন গাড়িটি আটক করা হয়। যে রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি লাগানো ছিল, তা একটি টয়োটা এম কর্পো (১৯৯৭) নামক গাড়ির। রাজধানীর উত্তরার বাসিন্দা তানভীর রহমান এর মালিক। বিএমউব্লিউ গাড়িটির চেসিস ও ইঞ্জিন নম্বরও নেই। গাড়িটি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে কালো টাকার বিনিময়ে কেনা হয়েছে এবং ছিনতাই, চোরাচালান, মাদক ব্যবসা এবং অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে গাড়িটি ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে।
ওই বাড়ির নিরাপত্তাকর্মীর বরাত দিয়ে র্যাব কর্মকর্তা জানান, আবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি বাড়ির মালিকের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেনের সুবাদে দেড় মাস আগে গাড়িটি রেখে যায়। আবুল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জিয়াউল হক নামে চট্টগ্রামের এক ব্যক্তির কাছে টাকা পান তিনি। কিন্তু জিয়াউল হক টাকা পরিশোধ না করে গাড়িটি তার জিম্মায় রাখেন। গাড়িটির কোনো কাগজপত্র জিয়াউল হক হস্তান্তর করেননি। তবে জিয়াউল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করার মোবাইল নম্বর ও ঠিকানা তিনি দিতে পারেননি।
র্যাব-৩ এর প্রধান লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, আবুল হোসেন ও জিয়াউল হক গাড়িটির সঙ্গে জড়িত। তাদের আটক ও সংঘটিত অপরাধ খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।